বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে শিরির বেগম ও দুপুরে মাসুমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
লংগদু ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সকালে রাঙ্গামাটি থেকে আমাদের ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। ঘটনাস্থলের পাশ থেকে ভাসমান অবস্থা নিখোঁজ শিরিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছি। দুপুরে মাসুম নামে এক শিশু মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এতে করে গত রাতের ঝড়ের ঘটনায় নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ জনে। আর কেউ নিখোঁজ না থাকায় লংগদুর উদ্ধার অভিযান শেষ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সঠিক স্থান কেউ চিহ্নিত করতে না পারায় আমাদের বেশি সময় লেগেছে। অভিযানে সেনাবাহিনী আমাদের সহায়তা করেছে।’
অন্যদিকে জেলার নানিয়ারচর উপজেলাতেও গত রাতে আকস্মিক ঝড়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিখোঁজ আছে বলে জানিয়েছেন নানিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজির আলম।
তারা হলেন শনখোলাপাড়া গ্রামের ডিলিশন চাকমা (১৮), জিগেশ দেওয়ান (১৮)।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে নৌকাডুবি: এবার নারীর মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ শিশু
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে নানিয়ারচর থেকে পূজা দেখে নৌকায় নিজ গ্রাম শনখোলাপাড়ায় ফিরছিলেন ডিলিশন চাকমাসহ ৬ আরোহী। নৌকাটি মহাজনপড়া এলাকায় পৌঁছাতেই ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। সেখান থেকে ৪ জন সাঁতারে নিরাপদ স্থানে যেতে পারলেও ডিলিশল চাকমা ও জিগেশ দেওয়ানের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে জাল ফেলে উদ্ধার অভিযান শুরু কলেও ডুবে যাওয়া ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। বেলা চারটা ফাযার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে। শেষ খবর পাওযা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে আকস্মিক ঝড়ে কাপ্তাই হ্রদে কয়েকটি স্থানে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।