শুভমান গিলকে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের সহঅধিনায়ক ঘোষণা করার পর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট মহলে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে–এই ওপেনার কী রোহিতের কাছে থেকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বও কেড়ে নিতে চলেছেন? টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেয়া রোহিতের ওয়ানডে ক্যারিয়ারেও শঙ্কার মেঘ দানা বাঁধছে। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরকেই 'হিটম্যান' রোহিতের ভারতের হয়ে শেষ সফর হিসেবে দেখছেন অনেকেই, বিশেষ করে অধিনায়ক হিসেবে, যদিও ব্যাটার হিসেবে হয়তো আরও কিছুদিন দেখা যেতে পারে তাকে।
২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বিসিসিআই নির্বাচক কমিটি নতুন অধিনায়ককে পর্যাপ্ত সময় দিতে চায়, যাতে বড় আসরের আগে তিনি নিজেকে গড়ে তুলতে ও মানিয়ে নিতে পারেন।
রেভস্পোর্টজের রিপোর্ট অনুযায়ী, গিলকে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই; অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। রোহিত শর্মা অবশ্য ওয়ানডে চালিয়ে যেতে চান এবং আগামী দুই বছরে আরেকবার বিশ্বকাপ জয়ের চেষ্টা করতে আগ্রহী। তবে সিদ্ধান্ত পুরোপুরি তার হাতে নেই।
আরও পড়ুন: বহুজাতিক টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ভারত বয়কট করবে না
এশিয়া কাপের পর ভারতের প্রথম সিরিজ অস্ট্রেলিয়ায়। অক্টোবরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে রোহিত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স না করতে পারলে নির্বাচকদের তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। তাছাড়া, ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভারতের ওয়ানডে সিরিজের সংখ্যা সীমিত, তাই রোহিত ও বিরাট কোহলির (যারা এর মধ্যেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ছাড়িয়েছেন) ধারাবাহিকভাবে ফর্মে থাকা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
টেস্টের অধিনায়কত্বের পর অক্ষর প্যাটেলকে সরিয়ে গিলকে টি-টোয়েন্টির সহঅধিনায়ক করা হয়েছে। শিগগিরই তিনি সূর্যকুমার যাদবকে সরিয়ে পূর্ণকালীন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কও হবেন—এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই নেয়া হতে পারে, বিশেষ করে সূর্যকুমারের বর্তমান বয়স ৩৪ হওয়ায়।
ভারতীয় ক্রিকেটে অতীতে সব ফরম্যাটে একজন অধিনায়ক রাখার কৌশল ভালো ফল দিয়েছে। নির্বাচকরা এবারও একই পথে এগোতে চান বলে মনে হচ্ছে। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার সময় রোহিতের বয়স হবে ৪০। কেবল এক ফরম্যাটে খেলে ফিটনেস ও ফর্মের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকা তার জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে। আগামী কয়েক সপ্তাহ রোহিত ও বিসিসিআই—দু’জনের জন্যই বেশ কঠিন সময় বয়ে আনতে যাচ্ছে।