মঙ্গলবার (২৪ জুন) এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মোট অর্থায়নের মধ্যে প্রায় ৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার অনুদান এবং ২ কোটি ৮১ লাখ ডলার সহজ শর্তে ঋণ হিসেবে দেয়া হবে। এই অর্থ এডিবির দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ সদস্য দেশগুলোর জন্য নির্ধারিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এডিএফ)’ থেকে সরবরাহ করা হবে।
‘ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিসেস অ্যান্ড লাইভলিহুড ফর ডিসপ্লেসড পিপল ফ্রম মিয়ানমার অ্যান্ড হোস্ট কমিউনিটিস ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার ও ভাসানচর অঞ্চলের রোহিঙ্গা এবং স্থানীয়দের জন্য পানি, পয়োনিষ্কাশন, স্বাস্থ্যবিধি, রাস্তা ও সেতু, নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা ও দুর্যোগ সহনশীলতার মতো মৌলিক সেবা সম্প্রসারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকখাতের সংস্কার ও জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ৯০ কোটি ডলার দেবে এডিবি
প্রকল্পের মাধ্যমে দুই অঞ্চলের নির্দিষ্ট চাহিদা বিবেচনায় একটি পৃথক কৌশল অনুসরণ করা হবে। এতে শুধু যোগাযোগ ও সেবায় প্রবেশাধিকারই বাড়বে না, একই সঙ্গে সরকারের প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সক্ষমতাও জোরদার হবে।
এডিবির বাংলাদেশে কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত জনগণের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে এবং আশ্রয় শিবির ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে সামাজিক সংহতি তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন আগের সহায়তারই ধারাবাহিকতা। ২০১৮ সাল থেকে এডিবি এই খাতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ১৭১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান ও ঋণ দিয়েছে।