রোহিঙ্গা গ্রাম গুঁড়িয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ঘাঁটি, মসজিদ-কবরস্থানও নিশ্চিহ্ন!

১ দিন আগে
পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গা গ্রাম গুঁড়িয়ে নিরাপত্তা ঘাঁটি গড়েছে মিয়ানমারের জান্তা সেনারা। জাতিসংঘের এক তদন্তে বেরিয়েছে এ তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেখানে গ্রাম, মসজিদ, কবরস্থান থেকে শুরু করে জমি পর্যন্ত নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযানে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে উচ্ছেদ করা হয়। জাতিসংঘ একে ‘জাতিগত নিধনের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে আখ্যা দিয়েছিল। এমনকি বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় শিবিরে অবস্থান করছেন।

 

জাতিসংঘের তদন্ত সংস্থা আইআইএমএম-এর নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের জমি দখল করে মিয়ানমার সেনারা ঘাঁটি, পাকা ভবন, রাস্তা আর হেলিপ্যাড বানিয়েছে। ইন দিন গ্রামে ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা হত্যার পর সেখানকার বসতি ভেঙে সামরিক স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।

 

তদন্তে দেখা গেছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিকরা রাষ্ট্রীয় চুক্তিতে গ্রাম গুঁড়িয়ে নতুন অবকাঠামো নির্মাণে সেনাদের সহায়তা করেছে। রিপোর্টে স্যাটেলাইট চিত্র, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা আর নথির ভিত্তিতে প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইবেন প্রধান উপদেষ্টা

 

তবে অর্থসংকটে ভুগছে আইআইএমএম। সংস্থাটি জানিয়েছে, পর্যাপ্ত তহবিল না পেলে আগামী বছর তারা প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চালিয়ে যেতে পারবে না। 

 

এদিকে চলমান সংঘাতে রোহিঙ্গাদের আবারও সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকি বাড়ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন