রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চোরাই রেশন জব্দ, আটক ১

৩ সপ্তাহ আগে
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিপুল পরিমাণ চোরাই রেশন জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে যৌথ টহল দলটি রইক্ষ্যং এলাকায় অভিযান চালালে একটি গুদামের পাশে শ্রমিকদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। এরপর গুদাম তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দকৃত রেশন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।


আটক ব্যক্তির নাম মো. ফারুক (২৭)। তিনি টেকনাফের উনচিপ্রাং ৩নং ওয়ার্ডের রইক্ষ্যং এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে এবং অভিযুক্ত গুদামের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।


জব্দকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে- চাল ২ হাজার ১৫০ কেজি, তেল ১৭০ লিটার, পেঁয়াজ ৩২০ কেজি, আটা ১ হাজার ৫২০ কেজি, চিনি ৭৫০ কেজি, ডাল ৫৫০ কেজি, হলুদ গুঁড়ো ৬০০ কেজি, সাবান ৭৫০০ পিস, ব্যাটারি ১২ ভোল্টের ৮টি ও ৬ ভোল্টের ২টি, বস্তা সেলাই মেশিন ১টি।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক জানায়, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রী গুদামে জমা করে মোড়ক পরিবর্তন করে তা আবার স্থানীয় ডিলারদের কাছে বিক্রি করা হতো। এ ছাড়া কিছু অংশ মিয়ানমারে পাচারও করা হতো। এই চক্রে ক্যাম্প ২২-এর রোহিঙ্গা ব্যবসায়ী মনু মাঝি এবং একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি জড়িত বলে দাবি করে ফারুক।


আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাব-মেশিনগানসহ আটক ৪


পাচারের কাজে ব্যবহার করা হতো উনচিপ্রাং ইউনিয়নের নদীপথের বিভিন্ন গোপন ঘাট, যেখান থেকে গভীর রাতে রেশনসামগ্রী মিয়ানমারে পাচার করা হতো।


সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সীমান্ত এলাকায় অভিযান জোরদার করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের রেশন চুরির সঙ্গে জড়িত প্রশাসনিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।


আটক ফারুককে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন