গেল এক মাস ধরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে এন্টিবায়োটিক, বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন, স্যালাইনসহ অধিকাংশ ওষুধ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রার্থী রোগী, নার্স ও ডাক্তাররা।
এদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তনে প্রতিনিয়ত বাড়ছে শীতজনিত নানা রোগের প্রকোপ। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কালাইটিস, শ্বাসকষ্টসহ ভর্তি অন্যান্য রোগীদের বেশিরভাগ ওষুধই কিনতে হচ্ছে বাইরের ফার্মেসি থেকে। এছাড়াও সিরিঞ্জ, কেনোলা, টেসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদিও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।
ভর্তি রোগীর অনেকেই জানান, হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপত্রের অধিকাংশ ওষুধই বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হচ্ছে। এছাড়াও চিকিৎসা দেওয়ার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি সরঞ্জামাদি কিনতেও জানানো হচ্ছে তাদের। সরকারি হাসপাতালে এমন বেহাল দশায় ক্ষোভ রোগীর স্বজনদের।
বহির্বিভাগে চিকিৎসা রোগীরা জানাচ্ছে হাসপাতালের ফার্মেসিতে পাচ্ছে না ওষুধ। ইতিপূর্বে যে সব রোগের ওষুধ হাসপাতাল থেকেই সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেওয়া হতো সেগুলোর বেশিরভাগ ওষুধ নাই বলে জানাচ্ছে ফার্মেসি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সবজির পাইকারি বাজারে টানা বৃষ্টির প্রভাব, কেজিতে বেড়েছে ৫-১০ টাকা
এদিকে প্রাণির আক্রমণের শিকার অনেকেই এসে হতাশ হচ্ছেন জলাতঙ্ক টিকা না পেয়ে। ব্যক্তিগত খরচে ৫৩০ টাকায় বাইরের ফার্মেসি থেকে টিকা নিয়ে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছে তারা। অথচ গেল দুই মাসে জেলায় প্রায় ৫ হাজার ৩০ জন রোগী জলাতঙ্ক টিকা গ্রহণ করেছেন। ফলে আর্থিকভাবেব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও জানাচ্ছে দরিদ্র রোগীরা।
ওষুধ সংকটের কারণে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছে নার্সরা। এতে রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার নার্স ও অন্য স্টাফরা।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, জলাতঙ্ক টিকার সমাধান আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান হবে। আর ওষুধ সংকটের সমাধান হতে আরও এক মাস সময় লাগবে বলে জানালেন আবাসিক
মেডিকেল অফিসার জাহিদুল ইসলাম।
হাসপাতালে তথ্য মতে, বর্তমানে দৈনিক গড়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪শ’ বেশি আর বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে হাজারখানেক রোগী।

১ সপ্তাহে আগে
৫






Bengali (BD) ·
English (US) ·