একই সঙ্গে এই মামলায় ছয়জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া দুইজন আসামি এরইমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন।
হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১৪ বছর পর বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
তবে এসময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক ছিলেন।
রায়ের বিষয়টি বিকেলে সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ, একজনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- তাওলাদ ওরফে জহিরুল।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মিজান, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল লতিফ, হানিফ, সোহেল, সবুজ, মিলন, সেলিম, গুলজার, লেদা ফারুক, রাসেল, মোমেন, সাদ্দাম, শাহীন, রুহুল আমিন, আবুল, পণ্ডিত।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- আবু, মাসুদ, মান্নান, শামীম, সোহেল ও দেলোয়ার। এছাড়া আবুল হাসেম ও শওকত মৃত্যুবরণ করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার মাছিমপুর এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করায় জালাল উদ্দিনের ছেলে বাবুকে ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
আরও পড়ুন: ভোলায় দুই ভাইকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, আদালত এই মামলায় উভয়পক্ষের শুনানি, যুক্তিতর্ক, ২৫ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আসামি তাওলাদ ওরফে জহিরুলকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন।
]]>