বুধবার (৭ মে) নানা দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ক্ষতিগ্রস্ত দুই শতাধিক মানুষ। তাদের সঙ্গে অংশ নেন কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত আইনজীবীরাও।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে আবাসন প্রকল্পের নামে জমি ক্রয় না করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বিপুল পরিমাণ ফসলি ও কৃষি জমি দখলের পাঁয়তারা করছে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রের লোকজন। জমির মালিকদের না জানিয়ে এবং কোন ধরনের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তারা রাতারাতি ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে ফসলি জমি, খেলার মাঠ ও গ্রামবাসীদের চলাচলের রাস্তা ভরাট করে ফেলছে।
আরও পড়ুন: ইটভাটা গিলছে উর্বর মাটি, গাইবান্ধায় হুমকির মুখে খাদ্য নিরাপত্তা
তারা আরও অভিযোগ করেন, প্রায় আট হাজার হেক্টর ফসলি ও কৃষি জমিতে লাল পতাকা টানিয়ে ভূমিদস্যুদের দখলে নেয়া হয়েছে। এমনকি বিপুল পাকা ধানসহ ফসলি জমিগুলো বালু ফেলে ভরাট করে ফেলছে। কৃষকদের পাকা ধান কাটার সুযোগও দেয় নি ভূমিদস্যুরা। এছাড়া সন্ত্রাসী বাহিনীর পাহারায় ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণের কাজও করা হচ্ছে। এতে বিপুল পরিমাণ পাকা ধান নষ্ট হয়ে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও জমির মালিকরা এই ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। অনতিবিলম্বে কৃষি জমি ভরাট বন্ধ ও কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া না হলে কঠোর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
মানবন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসকের কাছে নয় দফা দাবির একটি স্মারকলিপি দেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও জমির মালিকরা।