রুহুল হত্যা মামলায় র‍্যাবের জালে আলোচিত রবিন ডাকাত

১ সপ্তাহে আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বেঙ্গল টি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি রুহুল আমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম ওরফে রবিন (৩১) ডাকাতকে আটক করেছে র‍্যাব।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার সাইনবোর্ড থেকে তাকে আটক করে র‍্যাব-১১।


আটক রবিন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জের আঙ্গারপাড়া শামছুন নূর পাটোয়ারীর ছেলে।


মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে র‍্যাব-১১ কুমিল্লায় কর্মরত কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম জানান, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রুহুল আমিন হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পুলিশের সঙ্গে র‍্যাবের বিশেষ একটি দল অভিযান শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য রবিনকে আটক করতে সক্ষম হয়।


র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোটরসাইকেল আরোহী বিক্রয় কর্মীকে গুলিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আটক রফিকুল ইসলাম ওরফে রবিন।


ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, গত ১১ নভেম্বর রাতে রুস্তমপুরের সমিতির পোল এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন রুহুল আমিন (৩৭) নামে এক বিক্রয় প্রতিনিধি। ঘটনার পর ডাকাতরা তার কাছ থেকে নগদ টাকা লুট করে। ওই ঘটনার পরের দিন ফরিদগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন নিহতের বাবা হোসেন আলী। এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যাকাণ্ডে জড়িত রবিন ডাকাতকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতিসহ এক ডজন মামলা রয়েছে।


আরও পড়ুন: মাস্ক-হেলমেট পরে যেভাবে ৩ জন গুলি করে যুবদল নেতাকে


এদিকে, ঘটনার রাতেই হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। তা পাশের লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, তাদের ব্যবহৃত ঘটনাস্থলের পাশে ফেলে যাওয়া হেলমেট এবং একজোড়া স্যান্ডেলও জব্দ করা হয়।


চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে শুধু রবিন ডাকাতই নয়, তার সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। তাকেও খোঁজা হচ্ছে।


পুলিশের একটি সূত্র জানায়, দুর্বৃত্তরা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করতে চলাচলের জন্য যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করে তা গত কয়েক সপ্তাহ আগে ফরিদগঞ্জ উপজেলার নারকেলতলা এলাকা থেকে ছিনতাই করা। একজন পল্লী চিকিৎসক তার সঙ্গে করে নিয়ে পুরোহিতসহ ঘটনার রাতে নারকেলতলা অতিক্রম করার সময় দুর্বৃত্তরা পথরোধ করে তাদের মোটরসাইকেল, নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।


অন্যদিকে, গত ১১ নভেম্বর রাতে গুলিতে নিহত রুহুল আমিনের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড়ালী গ্রামে। তার স্ত্রী ছাড়াও দুই শিশু সন্তান রয়েছে। তিনি সিটি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল টি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন