রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের ময়দানের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা রাশিয়ান ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এসভিআর) এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে।
সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটিশ গোয়েন্দারা ইউক্রেনকে ব্যবহার করে একটি রুশু তেলবাহী ট্যাঙ্কারে হামলার পরিকল্পনা করছে। রাশিয়ার দাবি, রুশ তেলবাহী জাহাজকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আটকানোর জন্যই এ পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাজ্য।
রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার এমন প্রতিবেদনের মধ্যেই, ইউক্রেনে পাঠানো প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জের ধরে সংকটে পড়েছে ইউরোপ। ন্যাটো জানিয়েছে, যেসব দেশ এই সিস্টেম পাঠিয়েছে, তারা হয়তো ২০৩২ সালের আগে নতুন করে সরঞ্জাম পাবে না। জার্মানি ইতোমধ্যে মার্কিন প্রশাসনের কাছে ‘ওয়াটারটাইট গ্যারান্টি’ চেয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সাবমেরিন মোতায়েন নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় যা বললো রাশিয়া
এদিকে বেশ কয়েক দফায় যুদ্ধবন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেছে ইউক্রেন, যদিও কোনো সমাধান আসেনি। আবারো কিয়েভ-মস্কোর মধ্যে শান্তি আলোচনার সম্ভাবনা দেখা গেলেও বৈঠকে বসার আগে নতুন এক শর্তজুড়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে সরাসরি বৈঠক কেবল তখনই সম্ভব, যখন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে ‘যথাযথ প্রস্তুতি’ সম্পন্ন হবে। এ ধরনের শীর্ষ সম্মেলনের আগে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে শান্তিচুক্তির কাঠামো নিয়ে বাস্তব অগ্রগতির প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণ সাগরের কাছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি হামলা
এসময় পেসকভ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের রাশিয়ার সফর নিয়ে তিনি জানান, এ সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ফলপ্রসূ ও প্রয়োজনীয়। ট্রাম্পের সাবমেরিন মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি জানান, পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তাররোধে অত্যন্ত দায়িত্বশীল অবস্থানে আছে রাশিয়া।
অন্যদিকে জেলেনস্কি পালটা অভিযোগ করেন, মস্কো যুদ্ধের ময়দানে ভাড়াটে সেনা ব্যবহার করছে। তিনি দাবি করেন, রাশিয়ার হয়ে বিভিন্ন ফ্রন্টে চীন, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সেনারা যুদ্ধ করছেন। এসময় জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এর উচিত জবাব দেবে কিয়েভ।