রুশ ড্রোন হামলায় কাঁপল ইউক্রেনের ১২ শহর

৪ সপ্তাহ আগে
একদিনে ইউক্রেনের ১২টি শহরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খারকিভ, চেরনিহিভ, জাপোরিঝিয়া ও পোলতাভার একাধিক জ্বালানি স্থাপনা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে হাজারো ঘরবাড়ি। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

চলতি বছরেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে দুই দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কোনো আলোচনাতেই যেন আসছে না সমাধান। এরমধ্যেই শনিবার (১৮ অক্টোবর) মধ্যরাতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামো লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। এতে খারকিভ প্রদেশের ১২টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলায় প্রায় সব এলাকা গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

 

চেরনিহিভ অঞ্চলে একটি জ্বালানি স্থাপনায় রাশিয়ার হামলায় ১৭ হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। জাপোরিঝিয়ায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক ভবন ও যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পোলতাভা অঞ্চলেও ধ্বংস হয় একটি গুদাম ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ইউক্রনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, শীতকালকে নতুন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে মস্কো। 

 

জবাবে, রাশিয়ার বাশকোর্তোস্তান অঞ্চলের একটি অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরির কারখানায় ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হন। ভবনটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

 

আরও পড়ুন: বর্তমান সীমানা মেনে যুদ্ধবিরতিতে রাজি জেলেনস্কি

 

এদিকে, হোয়াইট হাউস থেকে জেলেনস্কির খালি হাতে ফেরার পেছনে পুতিনের হাত আছে বলে মনে করছেন মার্কিন বিশ্লেষকরা।

 

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন ইস্যুতে আবারও অবস্থান নরম করেছেন। 

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পকে আলোচনায় ব্যস্ত রেখেই উক্রেনের ওপর চাপ বাড়ানো পুতিনের কৌশল। আর রুশ প্রেসিডেন্টের এই কৌশলের কারণেই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনকে সাহায্য ও রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার বদলে তিনি ঘোষণা দেন পুতিনের সঙ্গে নতুন এক শীর্ষ সম্মেলনের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন