শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় কিছু বুঝে উঠার আগেই একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে। এতে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, বিস্ফোরণে বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি আগুন ধরে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তার পাশে পার্কিং করে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়ি। রুশ বাহিনীর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিকট শব্দ ও বিস্ফোরণের কারণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শহরের বাসিন্দারা।
তবে কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় থাকায় বড়ধরনের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ করা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি জনগণকে সতর্ক থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আরও আগেই আক্রমণ করা উচিত ছিল: পুতিন
কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিটসকো আলজাজিরাকে জানান, শহরের হোলাসিভস্কি অঞ্চলে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে আগুন লেগে যায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে।
এর আগে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত থাকলেও আরও আগেই ইউক্রেন আক্রমণ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনে প্রতিনিয়ত পাল্টাপাল্টি হামলা চললেও যুদ্ধের ইতি টানতে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি আছেন বলে জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা এড়িয়ে গেলেও, ট্রাম্প শাসনামলে তার পরিবর্তন দেখা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে ট্রাম্পের সঙ্গে সমঝোতায় প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন
সংবাদ সম্মেলনে রুশ সেনাদের সঙ্গে দ্বৈত সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান পুতিন। রাশিয়ায় তৈরি ‘ওরেশনিক’ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে পশ্চিমাদের ধারণা দূর করতেই এই প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।
এসময় রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের বের করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে, মঙ্গলবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিরিলোভকে তার বাসভবনের সামনে গুলি করে হত্যার কথা উল্লেখ করে ইউক্রেনীয়দের সন্ত্রাসী আখ্যা দেন।