কোপা দেল রে'র ফাইনালের রেশ কাটেনি এখনও। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের শেষের দিকে আন্টনিও রুডিগার যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। জার্মান সেন্টার ব্যাক ক্ষমা চাইলেও বড় শাস্তির মুখোমুখি হবেন বলেই অনুমান।
অতিরিক্ত সময়ের শেষের দিকে গোল খেয়ে রিয়াল তখন ৩-২ গোলে পিছিয়ে। এমন সময় রেফারি বুরগোসের কোনো এক সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত হয়ে তার দিকে কিছু একটা ছুঁড়ে মারেন রুডিগার। পরবর্তীতে জানা গেছে, সেই বস্তুটি ছিল একটি বরফের টুকরা।
রেফারির প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার জন্য লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় রুডিগারকে। পরবর্তীতে বড় শাস্তির আঁচ পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মারফত নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এই জার্মান ডিফেন্ডার।
আরও পড়ুন: মেসিকে ছাড়াই নেমে হারল মায়ামি, ইনজুরি শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন কোচ
রুডিগারের আচরণ নজর কেড়েছে জার্মান কিংবদন্তি লোথার ম্যাথাউসেরও। স্বদেশি হলেও রুডিগারের কড়া শাস্তি চান এই কিংবদন্তি মিডফিল্ডার।
স্কাই৯০কে ম্যাথাউস বলেন, 'সে (রুডিগার) পাগল হয়ে গিয়েছিল। নিজের ওপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সে যদি চার সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দিয়েই পার পেয়ে যায়, সে হয়ত খুশিই হবে। আমি বরং দুই সংখ্যার নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছি। আমি বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাশা রাখছি।'

ম্যাথাউসের চেয়েও এক কাঠি সরেস আরেক সাবেক জার্মান ফুটবলার দিমিতার হামান। তিনি চান জার্মান ফুটবল ফেডারেশন এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক এবং আন্তর্জাতিক ফুটবলেও রুডিগারকে নিষেধাজ্ঞা দিক।
বায়ার্ন মিউনিখ ও লিভারপুলের সাবেক এই তারকা বলেন, 'ফেডারেশনের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে রুডিগারকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধ করা।'
আরও পড়ুন: শীর্ষ পাঁচ লিগের বাইরে খেলেও সালাহকে টেক্কা দিচ্ছেন গিওকারেস
১০১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যদি রুডিগারকে শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে ৪ থেকে ১২ ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। এই ধারায় রেফারিদের প্রতি ‘হালকা সহিংসতার’ কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে স্পেনের ঘরোয়া ফুটবলের বাকি মৌসুমে হয়তো তাকে আর পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ। লা লিগায় এখনও বাকি পাঁচ রাউন্ড আছে।
তবে তার এমন আচরণ যদি আরও গুরুতর হিসেবে বিবেচিত হয়, তাহলে ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হতে পারে। এই ধারায় রেফারিকে ‘শারীরিক আক্রমণের’ কথা বলা হয়েছে। এবং এটা যদি আরও গুরুতর মনে করা হয়, তাহলে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন রুডিগার।