রিং বাঁধ ভেঙে আশাশুনিতে মৎস্য ঘের প্লাবিত

১ সপ্তাহে আগে
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাপুর ইউনিয়নের সুবেদখালী এলাকায় কপোতাক্ষ নদের সাথে সংযোগ খালের রিং বাঁধ ভেঙে গিয়ে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত কয়েকটি মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গিয়ে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় চিংড়ি চাষিরা। বিপাকে পড়েছেন অর্ধ শতাধিক মৎস্য চাষি।

বুধবার (২৮ মে) দুপুরে প্রবল জোয়ারের সময় কপোতাক্ষ নদের উপকূল রক্ষা বাঁধের স্লুইস গেট সংলগ্ন একটি খালে খননের সময় তৈরি করা রিং বাঁধটি ভেঙে যায়। হঠাৎ করে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় খালের পানি আশপাশের এলাকায় প্রবল বেগে ঢুকে পড়ে এবং বিস্তীর্ণ ঘের ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়।


এ বিষয়ে দরগাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মুকুল বলেন, বুধবার দুপুরের জোয়ারে খাল খননের সময় তৈরি হওয়া রিং বাঁধটি ভেঙে যায়। এতে অনেক মৎস্য ঘের পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ২০ লক্ষাধিক টাকা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


স্থানীয় বাসিন্দা ও চিংড়ি চাষি রহমত আলী জানান, জোয়ারের তোড়ে আমার বাড়ির পাশের অনেকখানি জায়গা একেবারে ভেঙে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে ঘেরে। রাতের জোয়ার যদি এর চেয়ে বেশি হয় এবং দ্রুত কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে ওয়াপদা রাস্তা ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


আরও পড়ুন: বর্ষা মৌসুমের আগেই যমুনা নদীতে ভাঙন, হুমকিতে তীর রক্ষা বাঁ


পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান বলেন, এটা মূলত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নয়। এটি কপোতাক্ষ নদের স্লুইস গেট সংলগ্ন খাল খননের ফলে সৃষ্টি হওয়া একটি রিং বাঁধ। দুপুরের জোয়ারে পানির চাপে এই বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।


আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় বলেন, রিং বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া মাত্রই আমি পাউবোসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


তবে রিং বাঁধটি ওয়াপদা বাঁধ থেকে কিছুটা দূরত্বে থাকায় জনসাধারণের জীবন-জীবিকা এখন পর্যন্ত বড় কোনো ক্ষতির মুখোমুখি হয়নি বলে জানা গেছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ না নিলে রাতের জোয়ারে আরও ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন