রাশিয়ার হয়ে লড়ছে চীনা সেনারা!

১ সপ্তাহে আগে
ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে দুই চীনা সেনাকে আটক করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা রাশিয়ার হয়ে লড়াই করছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানান, চীনা সেনাদের সঙ্গে পরিচয়পত্র, ব্যাংক কার্ড ও ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া গেছে।

 

জেলেনস্কি আরও বলেন, আটক হওয়া দুইজন ছাড়াও আরও বেশ কিছু চীনা নাগরিক রয়েছে রুশ বাহিনীতে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে বলেও জানান জেলেনস্কি। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টিপাত করেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: সেনাসদস্য স্বামীকে ইউক্রেনীয় নারীদের ‘ধর্ষণে উৎসাহিত’ করতেন স্ত্রী!

 

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে চীনা সেনাদের যুদ্ধ ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চীনের ঘোষিত অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।’

 

কিয়েভে চীনা রাষ্ট্রদূতকে বিষয়টি ব্যাখ্যার জন্য তলব করা হয়েছে বলে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।

 

এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিক কিয়েভ অভিযোগ করল, চীন ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে জনবল সরবরাহ করছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন হামলা করার পর থেকে মস্কো এবং বেইজিংয়ের মধ্যে রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বেশ দৃঢ় হয়েছে।

Our military has captured two Chinese citizens who were fighting as part of the Russian army. This happened on Ukrainian territory—in the Donetsk region. Identification documents, bank cards, and personal data were found in their possession.

We have information suggesting that… pic.twitter.com/ekBr6hCkQL

— Volodymyr Zelenskyy / Володимир Зеленський (@ZelenskyyUa) April 8, 2025

ইউক্রেন যে চীনাকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে, তারা চীনা সেনা না কি স্বেচ্ছাসেবক–এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। আমেরিকা ও ইউরোপে মিত্রদের এ ঘটনার প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

 

আরও পড়ুন: রাশিয়া, ইউক্রেন কেউই মানছে না যুক্তরাষ্ট্রকে!

 

এ নিয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি মস্কো ও বেইজিং। এর আগে যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা লড়াই করছে বলে জানায় ইউক্রেন।

 

গত কয়েক বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে জোরদার করেছে রাশিয়া। উভয় দেশ একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং পিয়ংইয়ং ইউক্রেনে মস্কোর সেনাদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য সেনা পাঠিয়েছে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন