বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি ওয়াশিংটনের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কের একটি বিরক্তিকর কারণ।
বুধবার ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার জন্য ভারতকে ‘দণ্ড’ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রুবিও বলেন, ভারত রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখায় পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুন: কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প, পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ
বছরের পর বছর ধরে রাশিয়া থেকে সস্তা মূল্যে ভারত তেল কেনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতাশ কি না জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
দেখুন, বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের একটি মিত্র। একটি কৌশলগত অংশীদার। পররাষ্ট্রনীতির যেকোনো কিছুর মতো, আপনি সবকিছুতে ১০০ শতাংশ সামঞ্জস্য করতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, ভারতের বিশাল জ্বালানি চাহিদা রয়েছে এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় তাদের তেল, কয়লা, গ্যাস এবং অন্যান্য জ্বালানির চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই বেশি। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রচলিত মূল্যে জ্বালানি কিনে সেই চাহিদা মেটানোর মতো সক্ষমতাও ভারতের আছে।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে সর্বনিম্ন শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে যারা
রুবিও বলেন, ‘কিন্তু ভারত তা করছে না। আন্তর্জাতিক বাজারে অন্যান্য বিক্রেতারা সহজলভ্য হওয়া সত্ত্বেও ভারত শুধু রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে; কারণ নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে রাশিয়ার তেল এখন সস্তা। দুর্ভাগ্যবশত, এটি রাশিয়াকে যুদ্ধে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করছে।’
]]>