মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার তেল ক্রয়ের কারণে ভারতের পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানোর হুমকি দেয়ার পর এই সমালোচনা করেছে ভারত। যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্বন্দ্বকে আরও গভীর করে তুলেছে।
আরও পড়ুন:বিবিসির প্রতিবেদন / কেন মুখোমুখি সংঘর্ষের পথে ট্রাম্প-পুতিন
মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ট্রাম্পের নয়াদিল্লির বারবার সমালোচনার নিন্দা জানায়।
এদিকে, সোমবার রাতে জারি করা এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এটা জানাচ্ছে যে, ভারতের সমালোচনাকারী দেশগুলো নিজেরাই রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যে লিপ্ত হচ্ছে।
এতে বলা হয়, ভারতকে এককভাবে বাদ দেয়া অন্যায়, যখন তারা নিজেরাও বাণিজ্য করছে। এতে বলা হয়েছে যে, ২০২৪ সালে ইইউ রাশিয়ার সাথে ৬৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো (৭৮.০২ বিলিয়ন ডলার) বাণিজ্য করেছে, যার মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিও রয়েছে, যা ১৬.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র তার পারমাণবিক বিদ্যুৎ শিল্প, প্যালাডিয়াম, সার এবং রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের জন্য রাশিয়ান ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড আমদানি অব্যাহত রেখেছে। তবে রপ্তানি তথ্যের কোনো উৎস জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে মার্কিন দূতাবাস এবং নয়াদিল্লিতে ইইউর প্রতিনিধিদল কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করার পর থেকে রাশিয়ার সাথে তাদের বাণিজ্য সম্পর্ক তীব্রভাবে কমিয়ে এনেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ উভয়ই।
আরও পড়ুন:ভারতের ওপর আরও শুল্ক বসাবো: ট্রাম্প
ইইউর নির্বাহী ইউরোপীয় কমিশনের মতে, ২০২১ সালে, রাশিয়া ছিল ইইউর পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, যেখানে ২৫৮ বিলিয়ন ইউরোর পণ্য বিনিময় হত।