রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে রেকর্ড উৎপাদন

৪ সপ্তাহ আগে
বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এক সময়ে নানা সংকটে ভুগলেও এবার উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছে। গত আগষ্ট মাসে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টে ৭৭১ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, যা কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর এক মাসে সর্বোচ্চ উৎপাদন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানের উপ মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য জানিয়েছেন।


২০২২ সালে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর যান্ত্রিক ত্রুটি, কয়লা সংকটসহ নানা কারণে বেশ কয়েক দফায় বন্ধ হয়ে যায়। তবে গত কয়েক মাসে কেন্দ্রটি ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন বাড়াচ্ছে।  


প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, আগস্টে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার (প্ল্যান্ট লোড ফ্যাক্টর) ছিল ৭৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। দেশের মোট ১০ হাজার ১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্যে এককভাবে এই কেন্দ্রের অবদান ছিল ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। গত তিন মাস ধরে কেন্দ্রটি ধারাবাহিকভাবে ৬০০ মিলিয়নের বেশি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আসছে। এ সময়ে মোট উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৩৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন ইউনিট।


বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিট চালুর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। এরপর ধাপে ধাপে দুই ইউনিটই উৎপাদনে যায়। প্রায় ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার এই কেন্দ্র বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।


প্রতিষ্ঠানের উপ মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো সব এরই মধ্যে সমাধান হয়েছে। এছাড়া সময় মতো ভালো মানের কয়লা আমদানি সম্ভব হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কঠোর পরিশ্রম করেছে বলেই এ সাফল্য বলেও জানান তিনি।


আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনের কেন্দ্র কাপ্তাইয়ে কল্পনাতীত লোডশেডিং!


তিনি আরও জানান, আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল হলেও এ কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা, দক্ষতা ও ধারাবাহিক কর্মক্ষমতা দেশের বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা এনেছে। শিল্পখাতের উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই প্রকল্প। উৎপাদনের এই সাফল্য ধারাবাহিকভাবে অব্যহত থাকবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন