রামগতিতে ফের সাত বছরের শিশু ধর্ষণ

২ সপ্তাহ আগে
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ফের সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে উঠেছে স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

পরে একই দিন সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মুয়াজ্জিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের চর আফজাল গ্রামের কারিগো গোজের জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের থাকার ঘরে এ ঘটনা ঘটে।


আরও পড়ুন: মাগুরায় আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার শুরু

 

অভিযুক্ত জিহাদুর রহমান (২২) ওই মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং কারিগো গোজ নুরানি মাদ্রাসার শিক্ষক।

 

তিনি নোয়াখালী জেলার চর জব্বার থানাধীন উত্তর চর বাগন গ্রামের মো. মমিনের ছেলে।

 

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

ভুক্তভোগী পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিশুটি কারিগো গোজ নুরানী মাদ্রাসার ২য় জামাতের শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার পর অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন খাওয়ার প্লেট ধোয়ার কথা বলে শিশুটিকে তার রুমে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় শিশুটি চিৎকার করলে মুয়াজ্জিন তাকে ছেড়ে দেয়।

 

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার পর দিন ২৩ এপ্রিল শিশুটির মা শিশুটিকে মাদ্রাসায় যেতে বললে সে যেতে অস্বীকৃতি জানায় এবং কান্নাকাটি শুরু করে। পরে শিশুটি ঘটনার বিস্তারিত তার মাকে খুলে বলে। এর আগেও মুয়াজ্জিন শিশুটিকে তার রুমে অনেকবার স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় বলে শিশুটি তার মাকে জানায়।

 

পরে অভিযুক্ত মুয়াজ্জিনে বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা।

 

আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্তকে বেত্রাঘাত দিয়ে গ্রামছাড়া, থানায় মামলা

 

রামগতি থানার (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন জিহাদুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করে। জিহাদুর রহমান বর্তমানে থানা হেফাজতে আছে। নিয়মানুযায়ী তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

 

উল্লেখ্য, গত রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে একই উপজেলার পৌরশহর আলেকজান্ডার ৭ নং ওয়ার্ডের সেবাগ্রাম এলাকায় ৭ বছরের এক শিশু তার ফুফা কর্তৃক ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়।

 

ওই ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে একই থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন। তবে সেই মামলার আসামি মাকসুদ পলাতক রয়েছে।

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন