রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে জুবেরী ভবনে সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আলিম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা নিন্দনীয় কাজ।
আরও পড়ুন: রাবিতে বহুমাত্রিক সংকট, কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা
এর প্রতিবাদে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া শিক্ষকদের যারা লাঞ্ছিত করেছে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত, সব প্রকার ক্লাস পরীক্ষা নেয়া বন্ধ থাকবে।
এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বা পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে বহাল রাখার প্রতিবাদে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি।
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির জন্য আগে থেকেই ৪ শতাংশ পোষ্য কোটা ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি পোষ্য কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। এরপর থেকেই শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পোষ্য কোটাকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দাবি করে একের পর এক আন্দোলন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: রাবিতে চলছে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্ম বিরতি
গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে ১৮ তারিখের মধ্যে দাবি আদায় না হলে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে জরুরি একাডেমিক কমিটির সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় ১০ শর্তে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আবার টানা আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।