৬ দিন আগে
২
প্রোটিয়া পেসাররা যদি বন্দুকের গুলি ছোড়ে, তবে স্টার্ক-কামিন্স-হ্যাজেলউড ছুড়েছেন কামানের গোলা। স্বল্পরানে গুটিয়ে দিয়েও অ্যাটাক 'ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স' এই মর্ম অনুধাবন করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। সিমিং কন্ডিশনে রক্ষণাত্মক খেলার কারণে গুনেছেন মাশুল। ধসের শুরু ডাকে এইডেন মার্কামের ফেরা দিয়ে।
রায়ান রিকেলটনকে নিয়ে মাইন্ড গেম খেলেছেন মিচেল স্টার্ক। বারবার উইকেট বাইরে বল দিয়ে খেলতে প্রলুব্ধ করছিলেন। সেই ফাঁদেই পা দিলেন এই বাঁহাতি। স্লিপে উসমান খাজার হাতে তালুবন্দী।
শেষ বিকেলে লর্ডসের ব্যালকনিতে প্রোটিয়া ডাগআউট বারবার ঘড়ির দিকেই তাকাচ্ছিলো। যেন দিনটা শেষ হলেই স্বস্তি। কিন্তু স্বস্তিতে শেষ করতে পারলো কই। এবার দৃশ্যপটে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ওইয়ান মুল্ডার বোকা বনে বোল্ড। ট্রিস্টান স্টাবসের হন্তারক জশ হ্যাজেলউড। তাইতো ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে দিনশেষ ব্যাটফুটে দক্ষিণ আফ্রিকাই।
লর্ডসের মেগা ফাইনালে পেসাররাই যে রাজ করবে সে আভাস পাওয়া গিয়েছিলো ম্যাচের আগেই। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়ার একটা প্রশ্নের মিলেছে উত্তর। ওপেনিংয়ে খাজার সঙ্গী মার্নাশ লাবুশেন।
আরও পড়ুন: রাবাদার তোপে অস্ট্রেলিয়া আড়াইশর আগেই থামল
প্রথম দিনে স্লিপে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাচগুলো নজর কাড়া। সপ্তম ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি উসমান খাজা। ওয়ান ডাউনে প্রমোশন পাওয়া শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা ক্যামরন গ্রিন খেলেন মোটে তিন বল। ব্যর্থতার মিছিলে লাবুশেন, ট্রাভিস হেড।
এরপর স্টিভেন স্মিথ আর বিউ ওয়েবস্টারের প্রতিরোধ। অবশ্য পুরোপুরি প্রতিরোধ বললেও ভুল হবে। এ দুজন ৭৯ রানের জুটি গড়েছেন ঠিকই, তবে পুরোটা সময়ই ধুঁকেছেন। কয়েক দফা বেঁচেছেন ভাগ্যের ফেরে।
ফিফটি তোলা স্টিভেন স্মিথ মার্কামের স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। আর ওয়েবস্টার দলীয় সর্বোচ্চ ৭২ রান করেছেন। ২০ রানে অজিরা হারায় শেষ ৫ উইকেট। প্রোটিয়া পেসার রাবাদা ৫১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টেস্টের ফাইনালে ফাইফার নিলেন রাবাদা। এর আগে চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের প্রথম আসরের ফাইনালে (২০২১) ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের পেসার কাইল জেমিসন। তবুও সিমারদের কল্যাণে দিনশেষে এগিয়েই রয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
Bengali (BD) · 
English (US) ·