নিহত ব্যক্তি এলাকায় বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহতের বাবা মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে তার ছোট ভাই মোজাম্মেল হোসেনের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে দুই পরিবারের মধ্যে গত শুক্রবার মারামারির ঘটনা ঘটলে প্রতিপক্ষের লোকজন হালুয়াঘাট থানায় ৮ জনের নামে একটি মামলা হয়। সে মামলায় ১ নম্বর আসামি ছিলেন আবু সাদাদ সায়েম।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ২ টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হালুয়াঘাট থানার এসআই মানিক মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ আসামি ধরতে যায়। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় আবু সাদাদ। পুলিশ তাকে না পেয়ে পেয়ে ফেরত যায়। এদিকে পুলিশ চলে গেলেও আবু সাদাদ সায়েম বাড়িতে না ফেরায় স্বজনেরা খোঁজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বড় ভাইয়ের পিঁড়ির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
পরে শুক্রবার ভোরে বাড়ির পাশের একটি ধানক্ষেতে পাওয়া যায় আবু সাদাদের রক্তাক্ত দেহ। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের সহযোগিতায় বাদী পক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। অথচ কোনো আসামি ধরবে না বলে পুলিশ আমাদের কাছ থেকে টাকাও নিয়েছিল। আমরা আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।’
এ ঘটনার পর দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, নিহতের শরীরে নিলাফুলা জখম, ছিলে যাওয়ার মতো আঘাত এবং কামড়ের মতো আঘাত রয়েছে। তবে গুরুতর কোনো আঘাত আমরা পাইনি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর বিষয়ে সঠিকভাবে বলা যাবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ‘স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার’ জেরে শিপলুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
তিনি আরও বলেন, পুলিশ যখন আসামি ধরতে যায় তখন তার বাবাকে সঙ্গে নিয়েই যায়। কিন্তু ঘরে না পাওয়ায় পুলিশ চলে আসে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিব।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৬







Bengali (BD) ·
English (US) ·