মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতভর বজ্রপাতসহ ভারি বৃষ্টি। বৃষ্টিস্নাত রাত রাজধানীবাসীকে স্বস্তির ঘুম এনে দিলেও ঘুম ভাঙতেই জলাবদ্ধতার সেই চিরচেনা দুর্ভোগ বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়।
পূজার ছুটি থাকায় রাস্তাঘাটে যানজট কম থাকলেও বিভিন্ন প্রয়োজনে, কর্মক্ষেত্রে কিংবা ছুটিতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে বিপাকে পড়েন অনেকেই। খালি পায়ে, ভ্যানে করে চলতে দেখা যায় যাত্রীদের।
গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা জানান, রাস্তায় গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। যে অল্প কয়েকটি বাস রাস্তায় বেরিয়েছে, সড়ক তলিয়ে থাকায় সেগুলোও বিকল হয়ে গেছে। সিএনজি-অটোরিকশার ভেতরে থেকে ভিজতে হচ্ছে। ভোগান্তির শেষ নেই যেন।

পরিবার নিয়ে পূজার ছুটিতে গ্রামে যাবেন অঙ্গন পাল। শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি, অপেক্ষা অন্তত গাবতলী পর্যন্ত যাওয়ার কোনো যানবাহন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে রাতভর বৃষ্টি, সড়কে জলাবদ্ধতা
তিনি বলেন, ‘পরিবার নিয়ে পূজার ছুটি কাটাতে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হলাম। কিন্তু এখন হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে আছি। নারী-শিশুদের নিয়ে বিপাকে আছি। এদিকে বৃষ্টিও থামছে না। ফলে নিজেরাও ভিজতেছি, ব্যাগে থাকা কাপড়ও ভিজে যাচ্ছে।’
সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম হলেও জলাবদ্ধতার কারণে ভোরেই রাজধানীর বেশ কিছু রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ভারি বৃষ্টিপাতের মধ্যে চলাচলের সময় ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিকল হয়ে পড়ে বেশ কিছু গাড়ি।

সিএনজি-অটোচালক মনির হোসেন বলেন, ‘মিরপুর-১০ থেকে কোনোমতে পানি ঠেলে এ পর্যন্ত এলাম। কিন্তু রাস্তায় পানি বেশি থাকার কারণে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেছে। এখন টেনে টেনে নিতে হচ্ছে।’
জলাবদ্ধতার এই চিরচেনা সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি চালক-যাত্রী সকলের।