রাজস্ব বাড়াতে কর বাড়ানোর উদ্যোগে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

১ সপ্তাহে আগে
রাজস্ব আয় বাড়াতে কর বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সামগ্রিক ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান তাদের।

ঋণের বোঝা বাড়াতে না চাওয়া অন্তর্বর্তী সরকার কর আহরণ বাড়িয়ে বাজেট বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে। আর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উচ্চবিত্ত নয় বরং মধ্যবিত্তদের পকেটেই হাত দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কারণ, হোটেল, রেস্তোরাঁ, বিমানের টিকিটসহ প্রাথমিকভাবে ৪৩টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

 

এতে বাজার বাস্তবতায় আরও চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলেন, নিত্যপণ্যের দাম দিন দিন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। সেই জায়গায় ভ্যাট বাড়া মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো।

 

যদিও অর্থ উপদেষ্টার আশ্বাস ভ্যাট বাড়লেও দাম বাড়বে না নিত্যপণ্যের। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে নয়, বরং রাজস্ব বাড়ানোর স্বার্থেই বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। তবে ৪৩টি পণ্যের উপরে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যের দামের ওপরে প্রভাব পড়বে না।

 

আরও পড়ুন: পণ্যের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর কারণ জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

 

তবে সরকারের এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিরোধিতা করছেন ব্যবসায়ীরা। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, এখনও ৭০ শতাংশ রেস্তোরাঁ, স্ট্রিটফুডের দোকানসহ নানা খাদ্যপণ্যের দোকান ভ্যাটের আওতার বাইরে আছে। এদের ভ্যাটের আওতায় না এনে যারা ভ্যাট দিচ্ছে তাদের ওপর আরও ভ্যাট চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।

 

এদিকে রাজস্ব নীতি নিয়ে কাজ করা এনবিআরের সাবেক সদস্য (মুসক) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী মনে করেন, ভ্যাটের মতো পরোক্ষ কর বাড়ালে দিনশেষে চাপে পড়েন সাধারণ মানুষ। ভ্যাটের উচ্চহার আরোপ করে ভোক্তাকে অসুবিধায় না ফেলে বরং যৌক্তিকভাবে একক ভ্যাট হার নীতি গ্রহণ করা উচিত।

 

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন