পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণার তথ্যমতে, রাজশাহী নগরীতে সবচেয়ে বেশি শব্দ দূষণ হয় বিন্দুর মোড় ও রেলগেটে। এখানে সবচেয়ে বেশি শব্দ দূষণ হয় যানবাহনের হর্নের কারণে। প্রতি ১০ মিনিটে হর্ন বাজানো হয় ৫৭৩ বার। গত ৫ বছর ধরে এই স্থানে বছরে দুইবার শব্দের মান পরীক্ষা করে আসছে, বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা।
তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১০ মে) বেলা ১১টায় সংস্থার পক্ষ থেকে শব্দের মাত্রা পরিমাপ করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত 'নয়েজ লেভেল মিটার' এর মাধ্যমে ১০ বারের পরীক্ষায় শব্দের মাত্রা হয় ৯৭.২ ডেসিবল।
আরও পড়ুন: শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র্যালি চট্টগ্রামে
রাজশাহীর বরেন্দ্র পরিবেশ উন্নয়ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি ড. প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান বলেন,শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৬ অনুযায়ী মিশ্র এলাকায় শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবল থাকার কথা। অথচ রেলগেট এলাকায় শব্দের মাত্রা অতি তীব্র এবং মানের চেয়েও দেড়গুন বেশি।
সংস্থাটির ভাষ্য, সাহেববাজার, ভদ্রা, তালাইমারী ও লক্ষ্মীপুরেও শব্দের মাত্রা ৭৫ ভাগ বেশি।শব্দদূষণের অন্যতম কারণ যানবাহনের শব্দ ও হর্ন, বিভিন্ন নির্মাণ কাজ। দিনরাত উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ মানুষ। অতিরিক্ত শব্দ স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকসসহ মানব স্বাস্থ্যের নানা অসুখের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও নগর পুলিশ বলছে, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রয়োগ করছে আইন।
আরও পড়ুন: গরমে অতিষ্ঠ রাজশাহী, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান ইবনে রহমান বলেন, শব্দ দূষণের মাত্রা কমাতে পুলিশ সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এখন যেহেতু দূষণের মাত্রা অনেক বেশী সেকারণে পুলিশ যথাযথ আইন প্রয়োগ করবে।
রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, শব্দ দূষণের মাত্রা কমাতে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ২০২২ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির প্রতিবেদনের তথ্যে, সারা বিশ্বের নগরীগুলোর মধ্যে শব্দ দূষণের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল রাজশাহী।