রাজশাহীতে সাদপন্থিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

৩ সপ্তাহ আগে
রাজশাহীতে সাদপন্থিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শুরায়ে নেজামপন্থিরা।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জুমার নামাজ শেষে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তারা একই স্থানে সমাবেশে মিলিত হন।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলায় সাদপন্থিরা জড়িত। হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। মামলায় গ্রেফতারের পর যারা জামিন পেয়েছেন, তাদের জামিন বাতিল করতে হবে।

 

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে অ্যালকোহল পানে চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৪

 

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে সাদের আগমন ও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। কাকরাইলসহ প্রতিটি জেলার মারকাজ মসজিদ পরিচালনায় সাদপন্থিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।

 

এসব দাবি মানা না হলে শুরায়ে নেজাম অনুসারীরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন জোবায়ের অনুসারীরা।

 

সমাবেশে বক্তব্য দেন রাজশাহী মারকাজ মসজিদের প্রধান সুরার সদস্য মাওলানা আব্দুল মালেক, সুরা সদস্য মাওলানা আব্দুল্লাহ তালহা, মাওলানা ইমরান আলীসহ আলেম-ওলামারা।

 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দিল্লির তাবলিগের নেতা মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে আসার বিরোধিতা করে আসছেন ওলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের পরামর্শক দল শুরায়ে নেজাম। যার অন্যতম নেতা মাওলানা জোবায়ের। তাদের দাবি মাওলানা সাদ তাবলিগের মাধ্যমে নিজের মনগড়া চিন্তা ছড়াচ্ছেন যা কোরআন ও হাদিসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কিন্তু মাওলানা সাদের অনুসারিরা তাদের নেতাকে আনতে জোর দাবি জানান এবং শুরায়ে নেজামের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেন।

 

শুরায়ে নেজাম ও সাদ অনুসারীদের এ বিরোধিতার কারণে তাবলিগ জামাত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ইজতেমার মাঠ দখলে নিতে সাদপন্থিরা ২০১৮ সালেই ইজতেমার মাঠে হামলা করলে দুইজন নিহত হন। সরকার পরিবর্তনের পর ২০২৪ সালে সাদপন্থিরা আবারও মাঠ দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় ইজতেমার মাঠে সাদপন্থিদের হামলায় তাবলিগের আরও ৪ জন নিহত হন।

 

তাই দেশব্যাপী ওলামায়ে কেরাম, শুরায়ে নেজামের অনুসারী ও সাধারণ মুসলমান এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি জানাচ্ছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন