এদিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের হিউম্যান হলার স্ট্যান্ডে প্রতিদিন প্রায় অর্ধশত গাড়ি থেকে মালিক সমিতির নামে ১০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হচ্ছে। কোর্ট এলাকা থেকে বানেশ্বর পর্যন্ত চারটি পয়েন্টে দিতে হচ্ছে আরও ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রাজশাহী শহরজুড়ে অন্তত ২০টি পয়েন্টে বাস, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, হিউম্যান হলার ও সিএনজি থেকে চাঁদা আদায় করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হলেও ক্ষোভে ফুঁসছেন চালকেরা।
হিউম্যান হলারের চালক নাজমুল হাসান বলেন, ‘প্রতিদিন যদি আড়াইশ টাকা চাঁদা দিতে হয়, তাহলে আমাদের হাতে থাকে কী? এসব কি প্রশাসনের নজরে পড়ে না?’
রেলগেট এলাকায় সিএনজি থেকে চাঁদা তুলছে মেরাজ আলী নামে এক ব্যক্তি। শুধু তানোর রোডেই ১৪৪টি সিএনজি চলাচল করে, প্রতিটি গাড়ি থেকেই নেওয়া হয় ২০ টাকা করে।
অভিযোগের বিষয়ে চাঁদা আদায়কারীরা স্বীকার করেছেন যে তারা টাকা নেন, তবে এভাবে চাঁদা তোলার বৈধতা সম্পর্কে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তারা অকপটে স্বীকার করেন, এই টাকার একটি অংশ মালিক সমিতির পকেটেও যায়।
আরও পড়ুন: রোপা আমনে ভালো ফলনের আশায় রাজশাহীর কৃষক
বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হেলাল বলেন, ‘সংগঠনের ব্যয় নির্বাহেই চাঁদার টাকা খরচ হয়।’ তবে কোন খাতে কত টাকা ব্যয় হয়, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।
রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান ও র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ জানান, ‘দৃশ্যমান চাঁদাবাজি রোধ করা তুলনামূলক সহজ, তবে যারা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ে, তাদের ধরতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। এরপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে দ্রুতই চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করবে।’
জেলার পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ বাস, ৫০০ সিএনজি, দেড় হাজার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও হিউম্যান হলার থেকে গড়ে দুই লাখ টাকার বেশি চাঁদা তোলা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই টাকার একটি অংশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের কাছেও পৌঁছায়।
গত এক বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২৫ জন চাঁদাবাজকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। তবে নগরজুড়ে এখনো প্রকাশ্যে চলছে চাঁদাবাজি, আর সাধারণ চালকরা প্রতিদিনই পড়ছেন হয়রানির মুখে।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·