স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুঠিয়া উপজেলার বিএনপির নেতা ও সাবেক মেয়র আল মামুন খান এবং বিএনপি নেতা ফারুক রায়হানের নেতৃত্বে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
বুধবার ওই দুপক্ষের লোকজন টেন্ডারকে কেন্দ্র করে বিকেলের পর থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। রাতে শুরু হয় দুপক্ষের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া। মধ্যরাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতরা পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: দাগনভূঞায় বাজার ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আটক ৩৭
এ দিকে এ সময় একপক্ষ স্থানীয় বিএনপি অফিসে আগুন ধরিয়ে দিলে তা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে পুড়েছে ৩টি মোটরসাইকেলও। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী মধ্যরাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘নতুন করে কোনো সংঘাত, যাতে না হয় এজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলো পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’