বুধবার (৭ মে) দুপুরে আকস্মিকভাবে দুদক ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজের নেতৃত্ব এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটকরা হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে মো. আশিক খান, কাজীবাধা বেথুলিয়া গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে মো. আকরামুজ্জামান, গোপিনাথদিয়া গ্রামের রহমত আলী মৃধার ছেলে মো. লিয়াকত আলী মৃধা ও পীরতলা কাজীকান্দা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে মো. মনসুর আহমেদ।
দুদক ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজ বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে ছদ্মবেশে রাজবাড়ী বিআরটিএ কার্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির নানা তথ্য-উপাত্য সংগ্রহ করি। এতে দেখা যায়, ৪ দালাল অফিসের ভেতরে চেয়ার টেবিলে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেয়াসহ তাদের দালালি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এসময় হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৭২ হাজার ৪২০ টাকা।’
আটক দালালদের সঙ্গে বিআরটিএ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো যোগসাজশ পাওয়া গেছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মোস্তাফিজ বলেন, ‘এখানে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের সহায়তা ছাড়াতো আর দালালরা অফিস কক্ষ দখল করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনা। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করব।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বিআরটিএতে দুদকের অভিযান
তিনি বলেন, ‘আপাতত আটক দালালদের বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।’
এ বিষয়ে রাজবাড়ী বিআরটিএ কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক শেখ ওয়াহিদ মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি এখন থানায় আছি। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন আছে।’
উল্লেখ্য, বুধবার ঢাকার উত্তরা ও কেরানীগঞ্জসহ দেশের ৩৫ টি বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারই অংশ হিসেবে রাজবাড়ীতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।