আশা ছিল অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর আবারো ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) রদবদলসহ বাজার সংস্কারে গঠিত হয় টাস্কফোর্স। তবুও ঠিক হয়নি বাজার। গত দুই মাস ধরে চলছে ধারাবাহিক পতন।
প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই মূলধন গত দুই মাসে মূলধন হারিয়েছে ৩১ হাজার কোটি টাকা। এ সময়ে প্রধান সূচকে পড়েছে ২৯৪ পয়েন্ট। আর চলতি মাসের প্রথম ১৬ কার্যদিবসে মূলধন কমেছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। লেনদেন ছিল মাত্র তিনশ কোটি টাকার ঘরে।
আরও পড়ুন: আরও ৭০৮৬ কোটি টাকা হারাল ডিএসইর বাজার মূলধন
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা দূর করতে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি আতাউল্লাহ নাইম বলেন, বাজারে স্বস্তি ফেরাতে কোনো দৃশ্যমান তৎপরতা নেই বিএসইসির। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারকে সামনে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে কর্মপন্থা বা রোডম্যাপ নেয়ার দরকার, সেগুলো নেয়া হয়নি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ও বাজার বিশ্লেষক ফারুক আহমদ সিদ্দিকী বলছেন, অর্থনীতির সামগ্রিক টালমাটাল পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। সংস্কার ও সুপারিশে জোর না দিয়ে বিদ্যমান আইনের মাঝেই সমাধান খুঁজতে হবে।
বাজার সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
]]>