রাজধানীর ৮০ শতাংশ ড্রেনই পলিথিনে আবদ্ধ, দায় কার?

৪ সপ্তাহ আগে
দোকানির তাঁক হয়ে, ক্রেতার হাত ধরে তার বাড়ি। প্রয়োজন প্রায় শেষ। এবার এক গুচ্ছ ময়লা নিজের ভেতরে নিয়ে তার জায়গা ভাঁগাড়ে। কারো কারো ভাগ্যে সেটাও জোটে না। জায়গা হয় শহরের নালায়-নর্দমায় বা শহরের পথে প্রান্তরে। পরবর্তীতে একটু বৃষ্টিতেই পানি প্রবাহের সব পথ আটকে রাখা এসব পলিথিনে তলিয়ে যায় শহর।

ঠিকঠাক পরিষ্কার না করার দায় যেমন দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানের, তেমনি নাগরিকদের অসচেতনতাকেও সমানভাবে দায়ি করছেন নাগরিকরাই।

 

অবশ্য এর জন্য পলিথিনের সহজলোভ্যতাকেও দুষছেন অনেকে। তাইতো গ্রাহক কিংবা খুচরা পর্যায়ে নয়, বরং কারখানা পর্যায়ে জরুরি সেবা ছাড়া অনান্য খাতে ব্যবহৃত পলিথিন উৎপাদন বন্ধের উদ্যোগ নিলেই এই বিষের ব্যবহার কমানো সম্ভব বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।

 

নিজের বৈশিষ্ট্যের জেরে বাজার দখলে নিচ্ছে প্লাস্টিক পণ্য। এ ধরনের বহু পণ্য রিসাইকেল করা গেলেও পলিথিনের ব্যাপারে সেটা বেশ ব্যয় সাপেক্ষ। কিন্তু তার পরও পাল্লা দিয়ে ব্যবহার বাড়ছে পলিথিন ব্যাগের।

 

২০০২ সাল থেকে উৎপাদন নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, প্রতিদিন দেশের প্রায় তিন হাজার কারখানায় এক কোটি ৪০ লাখ পলিথিন তৈরি হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: সুপারশপে বেড়েছে ক্ষতিকারক পলিপ্রপিলিনের ব্যবহার

 

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ দশে। ২০০৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এর ব্যবহার তিন গুণের বেশি বেড়েছে। এমনকি রাজধানীর প্রায় ৮০ শতাংশ ড্রেনই পলিথিনে আবদ্ধ।

 

নিজের বৈশিষ্ট্যর জেরে বাজার দখলে নিচ্ছে প্লাস্টিক পণ্য। ছবি ভিডিও থেকে নেয়া

 

যদিও এ ধরনের পণ্যের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এরই মধ্যে ইপিআর নির্দেশিকা প্রণয়নকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামিম আহমেদ।  

 

তিনি জানান, নতুন নির্দেশিকার কারণে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার থেকে তাদের পণ্যের বর্জ্য সরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।

 

আরও পড়ুন: পলিথিন মজুত বা বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা: র‍্যাবের হুঁশিয়ারি

 

দায়িত্বশীলদের সদিচ্ছা থাকলেই কেবল পলিথিনের বিকল্প বাজার তৈরি সম্ভব বলে মনে করেন পরিবেশবিদ আব্দুস সোবহান। তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক বন্ধ করতে না পারার দায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়কেও অনেকাংশে বহন করতে হবে। কেউ যদি বলে শোনে না, কিন্তু আপনাকে পলিথিন ব্যবহার বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। কিছুই হবে না আপনি কিছু্ করবেন না, তাহলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এ ধরনের অধিদফতর থাকার যৌক্তিকতা কোথায়?’

 

পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন বন্ধে সরকার তৎপর উল্লেখ করে পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান জানান, বিকল্প সমাজেই আছে। তাই নাগরিকদের তাদের বদঅভ্যাস দূর করার আহ্বান তার।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন