রাজধানীতে রাতভর বৃষ্টি, সড়কে জলাবদ্ধতা

১৮ ঘন্টা আগে
রাত থেকে রাজধানীতে অনবরত ঝরছে বৃষ্টি। থেমে থেমে বজ্রপাত হচ্ছে। সঙ্গে বিদ্যুৎও চমকাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার পর থেকে শুরু হয় মেঘের গর্জন। এর কিছু সময় পরই নামে বৃষ্টি। রাত পেরিয়ে ভোর হলেও বৃষ্টি থামার কোনো নামই নেই।

 

এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ফলে ভোর থেকে বিপাকে পড়েন যাত্রী ও পথচারীরা।

 

সময় সিংবাদের প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টিতে রাজধানী মিরপুরের কাজীপাড়া, কালশী ও মতিঝিলের বেশ কিছু সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। ফলে সরকারি ছুটির দিনেও সড়কে যানবাহনের জটলা বাড়ছে। পানির কারণে কিছু স্থানে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে বিকল হতে দেখা গেছে।

 

 

গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বৃষ্টির আগাম বার্তা দিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ দল (বিডব্লিউওটি) বলেছিল, দেশের ওপর ধেয়ে আসছে একটি শক্তিশালী মৌসুমি বৃষ্টিবলয় ‘প্রবাহ’। এটি ৩০ সেপ্টেম্বর রাত থেকে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

 

আরও পড়ুন: লঘুচাপের পূর্বাভাস, ভারি বর্ষণে প্লাবিত হতে পারে নিম্নাঞ্চল

 

এটি একটি ‘প্রায় পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টিবলয়’ এবং চলতি বছরের ১৩তম বৃষ্টিবলয়। যদিও এটি সারা দেশে একসঙ্গে সক্রিয় হবে না, তবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত ঘটাবে।

 

যেসব অঞ্চলে ‘প্রবাহ’ বেশি সক্রিয় থাকবে:

 

বৃষ্টিবলয়টি দেশের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এবং দক্ষিণাঞ্চলে বেশি সক্রিয় থাকবে। এর সক্রিয়তার ভিত্তিতে বিভাগগুলোকে ভাগ করা হয়েছে:

 

সক্রিয়তার মাত্রা: বিভাগসমূহ

 

রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগে সর্বাধিক সক্রিয় থাকবে, ঢাকা বিভাগ বেশ সক্রিয় থাকবে আর সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে মাঝারি সক্রিয় থাকবে।

 

বৃষ্টিবলয়টি ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের পূর্বাঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে ৬ অক্টোবর রংপুর বিভাগ হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে। এর সর্বাধিক সক্রিয়তা দেখা যেতে পারে ২ থেকে ৪ অক্টোবর।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন