শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
ডিএমপির মুখপাত্র তালেবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে যেসব গোয়েন্দা তথ্য আছে, সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে কারও বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় তাকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। কেউ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে বলে প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার, ঢালাওভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বা কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।’
এদিকে, রাজধানীর গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির মামলায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক জানে আলম অপুকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ওয়ারী থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি। অপুকে গ্রেফতারের মাধ্যমে চাঁদাবাজির মামলায় অভিযুক্ত ছয় জনকেই আটক করা হয়েছে।
গেলো ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে একটি চক্র রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তারা সেই বাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রথম ধাপেই আদায় করে ১০ লাখ টাকা।
পরে, চাঁদার দ্বিতীয় কিস্তি আনতে ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় আবারও শাম্মী আহম্মেদের বাসায় গেলে ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
এখন পর্যন্ত গ্রেফতার ৬ জনের মধ্যে তিনজনের বাসা থেকে প্রায় ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছেন কিনা সে নিয়েও তদন্ত চলছে বলেও জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: গুলশানে সাবেক এমপির বাসায় চাঁদাবাজি, আরেক ছাত্রনেতা গ্রেফতার
এছাড়া, ভাটারা থানার দেশে বাইরে লোক পাঠানো প্রতারণা মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জন গ্রেফতার জানিয়ে, এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে বলেও জানান ডিসি তালেব।
এদিকে, আওয়ামী লীগের গোপন বৈঠক এবং সেনা সদস্যসহ এসব যত তথ্য আছে, সেসব নিয়ে পুলিশ কাজ করছে ও তদন্ত চলছে বলেও জানান ডিসি তালেব।