মঙ্গলবার (১৩ মে) তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন: মেহেরপুর সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান ও বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজামান (৫০), মোহাম্মদপুর ৩৩ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুবেল ওরফে মোল্লা রুবেল (৪৫), নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী আলী আকবর মেম্বার (৭৭), কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুল আলিম বেপারী (৫৪), ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ শুভ (৩৮) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক আনছারুল করিম (৩০)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ৪৫ মিনিটে ডিবি-তেজগাঁও বিভাগের পৃথক টিম রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. শাহজামানকে এবং আনুমানিক ৭টা ৪৫ মিনিটের মধ্য বসিলা এলাকা থেকে রুবেল ওরফে মোল্লা রুবেলকে গ্রেফতার করে। একই দিন রাত আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটে ডিবি-রমনা বিভাগের একটি টিম রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকা থেকে হাজী আলী আকবর মেম্বারকে গ্রেফতার করে। রাত আনুমানিক ১১টা ৫৫ মিনিটে ডিবি-গুলশান বিভাগের একটি টিম রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে মো. আব্দুল আলিম বেপারীকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: ফের নতুন মামলায় গ্রেফতার সাবেক ৭ মন্ত্রী-এমপি
অন্যদিকে ডিবি-ওয়ারী বিভাগের একটি টিম রাত আনুমানিক ১১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ শুভকে গ্রেফতার করে।
এছাড়া, বুধবার (১৪ মে) দুপুর আনুমানিক ৩টা ৪০ মিনিটে ডিবি-উত্তরা বিভাগের একটি টিম রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আনছারুল করিমকে গ্রেফতার করে। আনছারুল করিমের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার সকলের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।