রাঙ্গামাটির আইকন ঝুলন্ত সেতু এলাকা যেন গো-চারণ ভূমি!

১ দিন আগে
রাঙ্গামাটি শহরের অন্যতম জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান ঝুলন্ত সেতু। এখানে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক আসেন প্রকৃতি উপভোগ করতে এবং শহরের সৌন্দর্য দেখতে। সম্প্রতি এই সেতু এলাকায় বেড়ে গেছে গবাদি পশুর অবাধ বিচরণ। সেতুর ওপরে হাঁটতে গেলে পর্যটকদের পিছু ছাড়ছে না গবাদিপশুর দল।

সেতু এলাকায় গিযে দেখা যায়, সেতুতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছাগল ও কুকুর। এদের যন্ত্রনায় অতিষ্ট পর্যটকরা। বিশেষ করে কোনো পর্যটক সেতুতে দাঁড়িয়ে কিছু খেতে গেলেই যুদ্ধ করতে হয় এসব প্রাণিদের সঙ্গে। যতক্ষণ পর্যন্ত সেই খাবার তাকে না দেয়া হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত রীতিতম পথ রোধ করে রাখে। এতে বেশি বিপদে পড়তে হয় নারী ও শিশুদের।


শুধু কুকুর বা ছাগলই নয়, এখানে রয়েছে গরু পাল। সিড়ি, রাস্তা, পর্যটকদের বিশ্রামস্থল থেকে শুরু করে ভাসমান দোকানের সামনেসহ সব স্থানেই এদের অবাদ বিচরণ। দেখে মনে হতে পারে এটি কোনো বিনোদন কেন্দ্র নয়, যেন গো চারণ ভূমি। জেলার পর্যটন শিল্পের আইকনিক স্থানের এমন বেহাল দশায় হতাশ দর্শনার্থীরা। ভাসমান ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বেড়লেও কোনো অনুশোচনা নেই পশু মালিকের।


ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক সাদিয়া ইসলাম বলেন, এটাকে পর্যটন কেন্দ্র না বলে গো চারণ ভূমি বলাই ভালো। যে পরিমাণ গরু ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে তাতে এই মানটাই মানারসই। এগুলো তো মানুষে বিন্দু মাত্র ভয় পায় না। হাতে খাবার কেড়ে নিয়ে খাওয়ার মতো অবস্থা করে। আমি একটি আনাসর নিয়েছিলাম। ছাগলের যন্ত্রণায় না খেয়ে ছাগলকেই দিতে হয়েছে।


শায়লা আক্তার বলেন, আমি বাচ্চাকে নিয়ে বেশ ভয়ে আছি, পশুগুলো ডেভাবে আমাদের ঘিরে ধরেছিল, আমার বচ্চা ভয়ে কান্না করেছে। দেশের আইকনিক স্থানে এমন কোনো ভাবেই কাম্য নয়। করপোরেশনের পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। এখানে কেন গবাদি পুশু থাকে? আমরা যদি এদের দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হই তবে সে দায় কে নিবে?


আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়া সীমান্তে গড়ে উঠছে নতুন ‘পর্যটন স্বর্গ’


ভাসমার ব্যবসায়ী সালাম হোনেস বলেন, আমরা এই গুরু ছাগল কারণে চরম কষ্টের  মধ্যে আছি। পর্যটকদের হাত থেকে খাবার নিয়ে যায়। দিকবিদিক দৌড়াদৌড়ি করে। এছাড়া দোকানে খাবারের প্যাকেটও নিয়ে যায়। এগুলো আশেপাশের বাসিন্দারা লালন পালন করেন। এদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।


বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, রাঙ্গামাটি শাখার ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা পশু মালিকদের কয়েকজনকে নোটিশ দিয়েছি। পাশাপাশি রাঙ্গামাটি পৌরসভাকে চিঠি দিয়েছি তারা যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। খুব দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।


রাঙ্গামাটি শহরের পাশে ১৯৮০ সালে ২৮ একর জায়গা নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশেরন এই শাখা। এটিই জেলার প্রথম বিনোদন কেন্দ্র।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন