সরেজমিনে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু, জুরাছড়ি ও রাঙ্গামাটি সদরে গিয়ে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে।
রাঙ্গামাটি পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বাঘাইছড়ি উপজেলার পৌর এলাকার বেশকিছু পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। তা ছাড়া জুরাছড়ি উপজেলার সড়ক ডুবে গেছে। তারপরও সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ।
আরও পড়ুন: পানি বিপৎসীমায়, ফের খুলে দেয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট
স্থানীয়রা জানান, এই মৌসুমে তিনবার প্লাবিত হতে হয়েছে। এতে বসতঘর ও ফসলি জমি ডুবে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত হ্রদে পানি কমিয়ে দেয়ার।
এ দিকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন থেকে পানিবন্দি মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ।
আরও পড়ুন: তিন দিন পর বন্ধ করে দেয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট
এ বিষয়ে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, ‘হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বাঁধের ১৬ গেইট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়েছে। পানিবৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকায় জলকপাট ১ ফুট করে খুলে দেয়া হয়েছে; যা থেকে প্রতি সেকেন্ডে ১৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে। হ্রদে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বর্তমানে পানি রয়েছে ১০৮.৯০ এমএসএল।