জেলার কটেজ, হোটেল ও মোটেলগুলো শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে খুশি স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কেউ বোটে করে যাচ্ছেন সুবলং ঝরনা বা ঝুলন্ত সেতুতে, আবার কেউবা নীল হ্রদের বুকে ভেসে বেড়িয়ে উপভোগ করছেন পাহাড় ও পানির সৌন্দর্য। অনেকেই বোটের ছাদে গান গেয়ে, নেচে উল্লাস করছেন।
শুধু কাপ্তাই হ্রদই নয়, নয়নাভিরাম আসামবস্তি সড়ক, পলওয়েল পার্ক এবং জেলার প্রতীক হিসেবে খ্যাত ঝুলন্ত সেতুতেও ভিড় করছেন পর্যটকরা। কেউ পরিবার নিয়ে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড় চূড়ায় বসে একান্তে উপভোগ করছেন প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ। পাশাপাশি স্থানীয় তাঁতে বোনা কাপড়ের দোকানগুলোতেও দেখা গেছে ভিড়।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশ ঘুরেছি, কিন্তু প্রকৃতির এত কাছাকাছি আসার অনুভূতি কোথাও পাইনি। হ্রদ, পাহাড়, সব মিলে রাঙামাটি যেন একখণ্ড স্বর্গ।’
আরও পড়ুন: বন্ধ মৌসুমে ন্যায্য খাদ্য সহায়তা চায় রাঙামাটির জেলেরা
যশোর থেকে আসা রাকিব হোসেন বলেন, ‘হ্রদের পানিতে মাছ দেখা যায়, এটা শুধু রাঙামাটিতেই সম্ভব। পাহাড়ের চূড়ায় বসে নিচে বোট চলাচল দেখতে দেখতে প্রশান্তি অনুভব করছি, যা শহরে কোটি টাকা খরচ করেও পাওয়া যায় না।’
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘মোটেলসহ শহরের সব হোটেল-কটেজে এখন পর্যটকে পূর্ণ। প্রত্যাশামতো পর্যটক আসায় ব্যবসাও ভালো হচ্ছে। আশা করি, এই ধারা অব্যাহত থাকলে বছরজুড়েই পর্যটন খাত ভালো চলবে।’
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তথ্য মতে, চলতি ছুটিতে জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে প্রায় ৫০ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে।
]]>