রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ ইস্যুতে আলোচনার দরকার ছিল: ফখরুল

১ সপ্তাহে আগে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যোগাযোগের জন্য মানবিক করিডর দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠক করা দরকার ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফরখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের শেখ বাজারে আয়োজিত গণসংযোগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে একটি খবর দেখে আমি চিন্তিত হলাম। বাংলাদেশের যে বৈদেশিক উপদেষ্টা তৌহিদ সাহেব, তিনি বলছেন, 'আরাকানদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আমরা একটা হিউম্যানিটরিয়ান প্যাসেজ, মানবিক একটা প্যাসেজ দিতে চাচ্ছি। অনেক কঠিন কথা, বোঝানো মুশকিল হচ্ছে। অর্থাৎ ওখানে (রাখাইন) যাওয়া যায় না তো, এখন আমাদের বাংলাদেশের চিটাগাং দিয়ে যাওয়া যাবে। ওখানে গিয়ে যোগাযোগ করা যাবে। এখন যোগাযোগ করার জন্য তারা এখন ওখানে হিউম্যানিটেরিয়ান প্যাসেজ দিচ্ছে।


তিনি বলেন, ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলি একটু। গাজায় যুদ্ধ হচ্ছে না? গাজায় শুধু বোমা ফেলছে ইসরাইল, তাই না? ওখানে তো কেউ যেতে পারে না। জাতিসংঘ থেকে খাবার, ওষুধ- এসব পাঠাতে হলে জর্দান থেকে অথবা মিশর থেকে রাস্তা তৈরি করে ওই দিক দিয়ে খাবার ও ওষুধ গাজায় পাঠানো হচ্ছে। ভালো কথা, এটা মানবিক কারণে দরকার আছে। তবে আমার কথা হচ্ছে, আজ বাংলাদেশকে ওই জায়গায় পৌঁছাতে হলো, যে বাংলাদেশকে একটা হিউম্যানিটেরিয়ান প্যাসেজ দিতে হচ্ছে। এটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা জড়িত আছে।


আরও পড়ুন: আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাই না: ফখরুল


বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের উচিত ছিল, দায়িত্ব ছিল এই বিষয়টা নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলা। এটা কথা না বলে তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে হিউম্যানিটরিয়ান প্যাসেজ দেয়ার জায়গা দিচ্ছে। মানুষকে সাহায্য করার ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। জাতিসংঘ যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে এটা হতে হবে সব মানুষের সমর্থনে।’


‘আমরা আরেকটা গাজায় পরিণত হতে চাই না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আরেকটি যুদ্ধের মধ্যে জড়াতে চাই না। আমাদের এখানে এসে আরও কেউ গোলমাল করুক, সেটিও আমরা চাই না। একে তো আমরা রোহিঙ্গা নিয়ে বড় সমস্যায় আছি, তার ওপর প্যাসেজ দেওয়া নিয়ে যাতে সমস্যার সৃষ্টি না হয় এ জন্য আলোচনা করে এটাতে যাওয়া উচিত ছিল বলে আমরা মনে করি।’ 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন