রাকসু জিএসের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি

২ সপ্তাহ আগে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মারের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদের অপসারণ দাবি করেছে রাকসু প্রতিনিধিরা।

সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় রাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান রাকসুর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।

 

তিনি বলেন, ‘রাকসুর সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে রেজিস্ট্রার স্যারের যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এ ঘটনার তদন্ত দাবি করছি এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার অপসারণ চাই। আশা করি প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।’

 

সংবাদ সম্মেলনে রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘আমি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিনিধি হয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু রেজিস্ট্রার স্যার কোনো উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো আমার সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেন। এটি ছাত্রসমাজের প্রতি অসম্মান।’

 

লিখিত বক্তব্যে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ জানান, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগে চলমান অচলাবস্থা ২৩ দিন ধরে চলছে। শিক্ষার্থীদের ক্লাস, পরীক্ষা ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই সংকট নিরসনে রাকসুর প্রতিনিধিরা একাধিকবার উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। উপাচার্য বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানকে অপসারণের নির্দেশে স্বাক্ষর করেন এবং ফাইলটি রেজিস্ট্রার দফতরে পাঠান।

 

আরও পড়ুন: রাবির রেজিস্ট্রার-আম্মারের বাগ্‌বিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল, আসলে কী ঘটেছিল?

 

কিন্তু প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী একই দিনে চিঠি ইস্যু হওয়ার কথা থাকলেও রেজিস্ট্রার দফতর তা বিলম্বিত করে। এতে বিভাগটির ক্লাস ও পরীক্ষা স্থবির হয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।

 

বক্তারা অভিযোগ করেন, রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বিষয়টি জানতে রেজিস্ট্রার দফতরে গেলে একজন কর্মকর্তা জানান, রেজিস্ট্রার তখন ‘রাজনৈতিক প্রোগ্রামে’ ব্যস্ত আছেন। পরবর্তীতে সরাসরি দেখা করলে রেজিস্ট্রার উত্তেজিত হয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

 

রাকসু মনে করে, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক সংকট উপেক্ষা করে প্রশাসনিক পদক্ষেপ বিলম্বিত করা দায়িত্বহীনতা ও জবাবদিহিতার অভাবের দৃষ্টান্ত। একজন নির্বাচিত ছাত্রনেতার সঙ্গে এমন আচরণ রাকসুর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক নীতিমালার পরিপন্থী।

 

সংবাদ সম্মেলনে রাকসুর অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন