মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাকসু নির্বাচন কমিশন বরাবর আচরণবিধি ভঙ্গের লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেল।
তাদের দাবি, ছাত্রশিবির সমর্থিত 'সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট' প্যানেলের প্রার্থীরা বিভিন্ন হল ও বিভাগে ভোটারদের খাবার ও বিশেষ উপহার দিচ্ছে।
এর আগে দুপুরে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে রাকসু নির্বাচন কমিশনে অভিযোগপত্র জমা দেয় ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’। তাদের অভিযোগ ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা ক্লাসরুমে ঢুকে নির্বাচনী প্রচারনা করছে। কমিশনের নির্ধারিত সময়ের বাইরে এবং শিক্ষার্থী নন এমন ব্যক্তি প্রচারণা করছেন। এছাড়াও আর্থিক লেনদেনে ভোটারকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চলছে বলেও জানানো হয়েছে অভিযোগে।
আরও পড়ুন: রাকসু নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগে জমেছে প্রচারণা
যদিও ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নুর উদ্দিন আবির বলেন, ‘ছাত্রশিবির সমর্পিত প্যানেল যেসব অভিযোগ করেছে সেগুলো অমূলক। মনগড়া অভিযোগ দিয়ে আমাদের প্রচারণা বাধাগ্রস্ত করতে এসব করছে।’
‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’র জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, ‘ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা কোনো নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন না। তারা ইচ্ছেমতো আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।’
ফাহিমের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার সত্যতা নেই।
এর আগে দুপুরে ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেটে ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন, সুষ্ঠু পরিবেশ, রাকসু নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করছে "রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ, সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ প্যানেলসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
এদিন সকাল থেকে লিফলেট- হ্যান্ডবিল নিয়ে প্রার্থীটা ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন।
আরও পড়ুন: আবারও জমে উঠেছে রাকসুর প্রচারণা, কাটেনি শঙ্কা
রাকসু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কোনো প্রার্থী বা প্যানেল আচরণবিধি লক্ষণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নানা ঘটনায় ক্যাম্পাসে অচল অবস্থা সৃষ্টি হলে ২২ সেপ্টেম্বর কমিশন ২৫ সেপ্টেম্বরের নির্বাচন পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর করার সিদ্ধান্ত নেয়।