মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে হালদা নদীর সাত্তারঘাট পয়েন্টে সেতুর কাছে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৪টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
খোন্দকারের অনুসারীরা সংঘর্ষের পেছনে প্রতিপক্ষ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে আরও আছেন রাউজান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাবেক সচিব নাসিম উদ্দিন চৌধুরী, তার এপিএস আশিকুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, আওরঙ্গজেব, নাইম উদ্দিন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে কাভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা, দুমড়ে-মুচড়ে গেল বাস
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কবরে দোয়া করার জন্য তার বাসভবনের দিকে যাচ্ছিলেন গোলাম আকবর ও অনুসারীরা। তারা হালদা ব্রিজের কাছে পৌঁছালে প্রায় ১০০ জনের একটি দল তাদের বাধা দেয় এবং গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। মুখোমুখি অবস্থান থেকে মুহূর্তেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গোলাম আকবর খোন্দকারের গাড়িবহরে থাকা একটি কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
হামলার পর বিএনপি নেতা গোলাম আকবর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাকে আগেই জানানো হয়েছিল যে তারা আমার ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে। আমি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু যখন নির্ধারিত সফরে যাচ্ছিলাম, তখন প্রায় ৫০-১০০ জন লোক আমার গাড়িতে হামলা করে।’
চট্টগ্রাম জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা গত ১৭ বছর এলাকায় থাকতে পারিনি। জেল জুলুমে অতিষ্ঠ ছিলাম। আজকে আমরা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কবরস্থানে যাচ্ছিলাম। ঠিক তখনই আমাদের ওপর হামলা হয়। আমাদের কবর জিয়ারত করতে যেতে দেয়া হয়নি। গোলাম আকবর খোন্দকারসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি ও যুবদলের নেতারা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের বহরে থাকা মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দরের কর্মচারী খুন: প্রধান আসামি রাসেল রিমান্ডে
এদিকে, ঘটনার পরপরই গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা ঘটনাস্থলে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। বর্তমানে রাউজানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা আছে।