সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রশিদপুর-৩ নম্বর গ্যাসকূপের গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহের মধ্য দিয়ে এই কূপের পুনঃখনন কাজের সমাপ্তি হলো বলে জানান রশিদপুর-৩ গ্যাস কূপের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, চলতি বছরের ১২ জুলাই এই কূপের পুনঃখননের কাজ শুরু হয়। ১৯৯৪ সালে আবিষ্কৃত কূপটি চলতি বছরের প্রথম পর্যন্ত দৈনিক ৬০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যোগান দেয়ার এক পর্যায়ে পাইপলাইনে অতিরিক্ত পানি আসার কারণে সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: নতুন ১০০ গ্যাস কূপ খনন ও ৩১টি সংস্কারে সরকারের উদ্যোগ
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আব্দুল জলিল প্রামাণিক জানান, চূড়ান্তভাবে ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেল। এই কূপ থেকে ১০ বছর গ্যাস পাওয়া যাবে। এই কূপ খনন কাজে নিয়োজিত রয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান, আগের চেয়ে এখন বাপেক্সের সক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে।
রশিদপুর-৩ কূপের গ্যাসসহ বর্তমানে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি জাতীয় সঞ্চালন লাইনে দৈনিক ১৪ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে।
আরও পড়ুন: রশিদপুরে কূপে নতুন গ্যাসের সন্ধান, দৈনিক ৮০ লাখ ঘনফুট সরবরাহের আশা
২০২৫ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা দৈনিক ১৬ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুটের চেয়ে সাড়ে আট কোটি ঘনফুটেরও বেশি গ্যাস সরবরাহে আশাবাদি কোম্পানি।
২০২৮ সালের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি, বাপেক্স এবং বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি মিলে ৬৯টি কূপ খনন এবং ৩১টি কূপ পুনঃখননের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।