মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।
এর আগে, বিভিন্ন উপজেলা থেকে সিভিল সার্জন এর কার্যালয় সামনে এসে জড়ো হন তারা। বেলা ১১ টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা এ কর্মসূচি চলে।
স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবি হচ্ছে, নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান। ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ। পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিযুক্ত সকল কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের স্নাতক স্কেলে আত্মীকরণ। টাইম স্কেল ও উচ্চতর গ্রেড অন্তর্ভুক্ত করে পুনঃনির্ধারিত বেতন স্কেল প্রদান। পূর্বে ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা সম্পন্নকারীদের ১১তম গ্রেডে সরাসরি অন্তর্ভুক্তি করা।
আরও পড়ুন: ছয় দফা দাবিতে ময়মনসিংহে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি
কর্মসূচি চলাকালীন বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মাসুদার রহমান, রংপুর জেলা সভাপতি শাহ মো. শামিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আনিস রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মারজান মিয়া।
রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. মাসুদার রহমান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে।
রংপুর জেলা সভাপতি শাহ মো. শামিম হোসেন বলেন, ‘জন্মের পর থেকে শিশুদের ১০টি মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষায় যে টিকা প্রদান করা হয়, তার পুরো কাজটি তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারীরাই করেন। এই কাজ অত্যন্ত টেকনিক্যাল হলেও আমরা এখনও টেকনিক্যাল পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করছে না। ফলে আমরা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আমরাই একমাত্র প্রশিক্ষণের জন্য আন্দোলন করছি। আশা করি সরকার আমাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সুনজর দেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন অর্জনের পেছনে স্বাস্থ্য সহকারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও বিগত সরকারগুলো কেবল আশ্বাস দিয়েছে, বাস্তবায়ন করেনি। তাই আমাদের দাবি বাস্তবায়নে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক (বিজ্ঞান) শিক্ষাগত যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমার মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।’
স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, ৬ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আরও কার্যকর ও টেকসই হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারীর ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করে বৈষম্যের অবসান ঘটাবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
]]>