মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গংগাচড়া থানার কুটিরঘাট ঘাঘট নদীর তীরসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাজু মিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার মো. তৈয়ব আলী এবং অন্যান্য সহযোগীদের প্রায় ছয় মাস আগে আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে ঝগড়া ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতে ‘এনজিও’ পরিচালক গ্রেফতার
অভিযোগ রয়েছে, ওই ঘটনার জের ধরে গত ১৭ মে সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে ডেকে সাজু মিয়াকে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। সেখানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয় এবং মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মরদেহটি বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে রাখা হয়।
পরদিন ১৮মে রাত ৩টার দিকে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে গংগাচড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ গ্রেফতার
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান জোরদার করে।
র্যাব জানায়, ঘটনার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট আসামিরা আত্মগোপনে ছিলো। ১৮ নভেম্বর গংগাচড়া থানার কুটিরঘাট ঘাঘট নদীর তীর সংলগ্ন এলাকা থেকে মো. তৈয়ব আলীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

১ সপ্তাহে আগে
৫






Bengali (BD) ·
English (US) ·