সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ শিক্ষিত তরুণ কর্মবাজারে প্রবেশ করলেও কাঙ্ক্ষিত চাকরি পান অর্ধেকেরও কম। শিল্পায়নের ধীরগতি এবং সীমিত শ্রমবাজারের কারণে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি রংপুরে।
তবে এই চিত্র বদলাচ্ছে। প্রযুক্তির সহজলভ্যতা আর ইচ্ছাশক্তির জোরে অনেকেই নতুনভাবে পথ খুঁজে নিচ্ছেন। ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাগ্রো-টেক কিংবা ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদেরও কাজের সুযোগ তৈরি করছেন তাঁরা।
যেমন শৈবাল আহম্মেদ। মাত্র চার হাজার টাকা মূলধন নিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে তার ব্যবসার পরিধি কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন তরুণ উদ্যোক্তার কৃষিভিত্তিক পণ্যের স্টার্টআপও এখন সাফল্যের মুখ দেখছে। তবে এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে নিরলস পরিশ্রম, শ্রমিক সংকট, বাজার চ্যালেঞ্জসহ নানা প্রতিবন্ধকতা।
আরও পড়ুন: রংপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’র হুঁশিয়ারি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক মনে করেন, এই তরুণদের যদি বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ, মূলধন সহায়তা এবং বাজার তৈরিতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া যায়, তবে তারাই হতে পারে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি।
গবেষণা বলছে, দেশের ১৮-৩৫ বছর বয়সী ৬২ শতাংশ তরুণই নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী। গত এক দশকে ই-কমার্স, অ্যাগ্রো-টেক ও ফ্রিল্যান্সিংসহ বিভিন্ন খাতে স্টার্টআপ বেড়েছে তিন গুণ। বর্তমানে প্রায় দেড় লাখ তরুণ-তরুণী অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তরুণদের এই উদ্যোক্তা হওয়া যাত্রা টেকসই করতে হলে বাজেটে আলাদা বরাদ্দ এবং দীর্ঘমেয়াদী নীতিগত সহায়তা জরুরি।
]]>