বুধবার (২৮ মে) আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে মেয়র ও কাউন্সিলরদের পুনর্বহাল না করা হলে ঈদের পরে লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে রংপুর অচল করে দেয়া হবে।
মোস্তফার এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তারা বুধবার (২৮ মে) রাত ৯টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাব এলাকায় পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
এনসিপি নেতারা জাতীয় পার্টিকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে দলটির বিরুদ্ধে তীব্র স্লোগান দেন। তারা মোস্তফাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাব থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি নগর ভবনের দিকে অগ্রসর হয়ে জাহাজকোম্পানি মোড়ে এসে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী নেতারা।
এ সময় ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো, জাতীয় পার্টির আস্তানায় আগুন জ্বালো’, ‘মোস্তফার দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’, ‘ভেঙ্গে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, জাতীয় পার্টির আস্তানা’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, বিপ্লবীরা জেগেছে, ছাত্ররা জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
আরও পড়ুন: মর্গে ইঁদুরে খেয়েছে মৃত ব্যক্তির চোখ, স্বজনরা বলছেন ‘চুরি’
জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক আলমগীর নয়ন বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিল, তারাই এখন আন্দোলন করছে। প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সহচর ছিল। তারা গুম-খুনের রাজনীতির সহযাত্রী হয়েছে। এই দলের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।’
এর আগে দুপুরে সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার কাছে দাবি জানাই, আগামী সাত দিনের মধ্যে রসিক পরিষদকে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় ঈদের পর ১২ বা ১৩ জুন থেকে নগর ভবনের মূল ফটকের সামনে মঞ্চ বসিয়ে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে।’
]]>