রং তুলির শেষ আঁচড় পড়ছে মেহেরপুরের প্রতিমায়

৬ দিন আগে
আর মাত্র কয়দিন পর শারদীয় দুর্গোৎসব। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। কাঁদা মাটির নিপুন ছৌঁয়ায় তৈরি করা হয়েছে প্রতিমাগুলো। এখন চলছে রং তুলির শেষ আঁচড়। দেবীকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রং শিল্পীরা।

মেহেরপুরে সব ধর্মের মানুষ উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে দূর্গোৎসব পালন করতে পারবে বলে আশা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। 


দরজায় কড়া নাড়ছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীর উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। ইতোমধ্যে মহালয়া চন্ডিপাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। হিন্দু সম্প্রদায়ের মতে এদিন ভক্তদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বর্গলোক থেকে মত্যলোকে আসবেন দেবী দুর্গা। দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। 


কারিগরদের নিপুন হাতে ছৌঁয়ায় তৈরি করা হচ্ছে দেবী দুর্গা, স্বরসতী, লক্ষী, গণেশ, কার্তিকসহ বিভিন্ন প্রতিমা। প্রতিটি মানুষ যাতে শান্তিতে থাকে, বিশ্ব মঙ্গলময় হয়, মায়ের কাছে শুরু থেকেই এমন প্রার্থনা করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক থেকে কলেজ, দুর্গাপূজায় কোন প্রতিষ্ঠানে ছুটি কতদিন

এবার দেবী দূর্গা আসবে গজে, গমন করবে দোলায়। দেবীর এবার গজে আগমন করায় ধরায় শুভ লক্ষনের বার্তা। কিন্তু দেবীর গমন দোলায় হওয়ায় ধরায় অশুভোর লক্ষন। তারপরও দেবীর আরোধনা করে দেবীকে খুশি করে সব অশুভ শক্তি দূর করার চেষ্টা করবেন ভক্তরা। 


শহরের মূল কেন্দ্রে অবস্থিত শ্রী শ্রী কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের পুরোহিত তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত আমরা ভক্তকুল দেবীর আরাধনায় মগ্ন থাকবো। দেবীকে খুশি করতে পারলেই সকল অমঙ্গল ধরা থেকে বিদায় নেবে এমনটাই প্রত্যাশা সনাতনীদের। 

সব ধর্মের মানুষ উৎসব মূখর পরিবেশে দুর্গোৎসব পালন করতে পারবে বলে মত পূজা উদযাপন কমিটির এ নেতা। 

কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই বলেও জানালেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির মেহেরপুর জেলা আহ্বায়ক সঞ্জিত পাল বাপ্পি।


আর এবার পূজা উদযাপনকে নির্বিঘ্ন করতে সকল ধরনের নিরাপত্তা বলাই সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। মণ্ডপগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়ে, কোন ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে কোন ষড়যন্ত্রকারীকে সুযোগ না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী।


এবার মেহেরপুরের তিন উপজেলায় ৩৯ টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন