প্রখ্যাত সাহাবি হযরত সালমান ফারসি (রা.)-এর পরামর্শ ও মজলিসে শুরার সিদ্ধান্তে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনার উন্মুক্ত দিকে পাঁচ হাত গভীর এক পরিখা খনন করেন বিধায় একে পরিখা বা খন্দকের যুদ্ধ বলা হয়। পবিত্র কোরআনের সুরা আহযাবের ২০ নং আয়াতে ‘আহযাব’ নামকরণ স্বীকৃত হয়েছে।
আরব উপদ্বীপে শান্তি ও স্বস্তির আবহ সৃষ্টি হয়েছিল। সর্বত্র সুখ-শান্তি ও নিরাপত্তার পরিবেশ বিরাজমান ছিল। কিন্তু ইহুদিদের শাখাগোত্র বনু নাজিরকে নিজেদের দুষ্কর্ম ও চক্রান্তের কারণে নানা প্রকার অপমান ও লাঞ্ছনার স্বাদ গ্রহণ করেছিল, তখনো তাদের বোধোদয় হয়নি।
মদিনা থেকে বহিষ্কৃত হয়ে খায়বার যাওয়ার পর মুসলিম ও মূর্তিপূজকদের মধ্যে যে সামরিক টানাপোড়েন চলছিল তার ফলাফল কী দাঁড়ায় তা দেখার জন্য তারা অপেক্ষমান থাকে। কিন্তু যখন তারা দেখল যে, পরিস্থিতি ক্রমেই মুসলমানের অনুকূলে যাচ্ছে এবং তাদের শাসনক্ষমতা বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করেছে, তখন তারা হিংসার আগুনে জ্বলেপুড়ে মরতে লাগল এবং নানা প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলো।
শেষবারের মতো মুসলমানদের এমন এক চরম আঘাত হানার জন্য তারা প্রস্তুতি শুরু করে দিল, যাতে তাদের জীবনপ্রদীপ চিরতরে নিভে হয়ে যায়। কিন্তু যেহেতু মুসলমানের সঙ্গে সরাসরি মোকাবিলা করার সাহস তাদের ছিল না, তাই অত্যন্ত বিপজ্জনক পন্থা অবলম্বন করল।
আরও পড়ুন: নবীজির আকিকা যেভাবে আদায় করা হয়
কুরাইশরা বদরে নিরঙ্কুশভাবে পরাজিত হয়। উহুদে মুসলমানদের সমূলে ধ্বংস করতে না পারা, আর চ্যালেঞ্জ দিয়েও মুসলমানদের মোকাবিলায় পরবর্তী বছরে বদরে না এসে কাপুরুষ বলে পরিগণিত হয়। তাদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের জন্যে উহুদের চেয়েও ভয়ংকর অবস্থা করার মানসে প্রস্তুত হয়। কিন্তু কীভাবে সম্ভব এ পরিস্থিতি তৈরি করা-এর পথ বের করে দিল খায়বারে আশ্রয় গ্রহণকারী ইহুদিরা।
]]>