যে ৫ কারণে রোজা ভাঙে না

১ দিন আগে
সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রোজা রাখা ফরজ। রোজার প্রতিদান মহান আল্লাহ স্বয়ং দেবেন। আর রোজা রাখার রয়েছে নির্দিষ্ট নীতিমালা। এ নীতিমালার আলোকেই রোজা রাখতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে রোজা হবে না।

কিছু কাজ আছে, যার দ্বারা রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। অথচ অনেকে এগুলোকে রোজা ভঙ্গের কারণ মনে করে। ফলে এমন কোনো কাজ হয়ে গেলে রোজা ভেঙে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত পানাহার করে। পক্ষান্তরে কেউ কেউ এসব কাজ পরিহার করতে গিয়ে অযথা কষ্ট ভোগ করে। সুতরাং এসব বিষয়েও সকল রোজাদার অবগত হওয়া জরুরি।

 

১. কোনো রোজাদার রোজার কথা ভুলে গিয়ে পানাহার করলে তার রোজা নষ্ট হবে না। তবে রোজা স্মরণ হওয়ামাত্রই পানাহার ছেড়ে দিতে হবে।

 

হাদিস শরিফে এসেছে, 

 

যে ব্যক্তি ভুলে আহার করল বা পান করল সে যেন তার রোজা পূর্ণ করে। কারণ আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।(মুসলিম ১/২০২; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭১)

 

২. চোখে ওষুধ-সুরমা ইত্যাদি লাগালে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।

 

হজরত আনাস (রা.) রোজা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন। (আবু দাউদ ১/৩২৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৩)

 

৩. রাতে স্ত্রীসহবাস করলে বা স্বপ্নদোষ হলে সুবহে সাদিকের আগে গোসল করতে না পারলেও রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। তবে কোনো ওযর ছাড়া, বিশেষত রোজা অবস্থায় দীর্ঘ সময় অপবিত্র থাকা অনুচিত।

 

উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, তিনি বলেন, গোসল ফরজ অবস্থায় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকাল হত। অতঃপর তিনি গোসল করে রোজা পূর্ণ করতেন।

 

৪. বীর্যপাত ঘটা বা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে স্ত্রীকে চুমু খাওয়া জায়েজ। তবে কামভাবের সঙ্গে চুমু খাওয়া যাবে না। আর তরুণদের যেহেতু এ আশঙ্কা থাকে তাই তাদের বেঁচে থাকা উচিত।

 

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. বলেন, আমরা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে ছিলাম। ইতিমধ্যে একজন যুবক এল এবং প্রশ্ন করল, আল্লাহর রসুল! আমি কি রোজা অবস্থায় চুম্বন করতে পারি? নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। এরপর এক বৃদ্ধ এল এবং একই প্রশ্ন করল। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোন, বৃদ্ধ ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। (মুসনাদে আহমদ ২/১৮০, ২৫০)

 

৫. অনিচ্ছাকৃত বমি মুখ ভরে হলেও রোজা ভাঙবে না। তেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজে ভেতরে চলে গেলেও রোজা ভাঙবে না। হাদিস শরিফে আছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোজা কাজা করতে হবে না। (তিরমিজি, হাদিস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন