নিভৃত পল্লীতে বেড়ে ওঠা এক তরুণ কীভাবে পুরো জাতিকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন রংপুর ঘুরে সেই সব তথ্য তুলে ধরা হলো আজকের এ প্রতিবেদনে।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাইয়ের ঐতিহাসিক এ ঘটনা বাড়িয়ে দিয়েছিল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের তেজ। পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দিয়ে বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার করেছিল পুরো জাতিকে। তিনি ছিলেন জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ।
শৈশব থেকেই সংগ্রামী জীবনকে আলিঙ্গন করেছিলেন আবু সাইদ। দারিদ্র্যের অন্ধকার থেকে মুক্তির পথ হিসেবে তার সামনে আসে শিক্ষার আলো। ছিলেন শান্তশিষ্ট এবং অধ্যবসায়ী।
শৈশব ও কৈশোর পার করে মেধার সাক্ষর রেখে আবু সাইদ ঊচ্চতর পড়াশোনার জন্য ভর্তির সুযোগ পান রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে।
সহপাঠীরা জানান, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে শুরু থেকেই সক্রিয় হন আবু সাঈদ। স্বপ্ন দেখেন তার মতো লাখো শিক্ষিত তরুণ সুযোগ পাবেন যোগ্যতা প্রমাণের।
আরও পড়ুন: ১৬ জুলাই ২০২৪ /আবু সাঈদ, ওয়াসিমসহ ৬ শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয় স্বাধীন দেশের রাজপথ
অভ্যুত্থানের বছর পূর্তিতে এসে পরিবারের দাবি যে স্বপ্ন নিয়ে আত্মোৎসর্গ করেছেন আবু সাইদ, তা এখনও পূরণ হয়নি৷ গণহত্যাকারীদের বিচার আর গণতান্ত্রিক সরকারের প্রত্যাশা তাদের।
আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বলেন,
আমার ছেলে কোটা আন্দোলনের জন্য শহীদ হয়েছে। কোটা যেন বাংলাদেশে না থাকে। আর সুনির্দিষ্ট একটা সরকার গঠন হয় সবাই যেন শান্তিতে থাকতে পারে, এটাই আমি চাই।
আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী বলেন,
বৈষম্য যদি বাংলাদেশে থাকে তাহলে আমরা আমাদের ভাইকে হারিয়ে আমরা কী পেলাম। আমি চাই এ রকম স্বৈরশাসক যেন আর না আসে। আমার ভাই যে কারণে প্রাণ দিয়েছে, সেটা যেন এই বাংলাদেশে না থাকে।
আবু সাঈদের মতো হাজারো তরুণের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বৈরাচারমুক্ত নতুন বাংলাদেশে বৈষম্যমূলক সব রীতির অবসান চান ছাত্র-জনতা।
]]>